মৌসুমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র বন্যা হতে পারে
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ মে ২০২৪
- / ১৭০৫ বার পড়া হয়েছে
প্রাক বর্ষায় আগাম বন্যার আশঙ্কা না থাকলেও এবার মৌসুমে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে মাঝারি থেকে তীব্র বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। গ্রীষ্মের দীর্ঘ খরায় বর্ষা মৌসুমে এবার অতি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন, পূর্বাভাস কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান। সেই সাথে ‘লা-নিনা’ সক্রিয় হওয়ায় বাংলাদেশের উজানে-ভারতীয় রাজ্যগুলোতেও বাড়বে বৃষ্টি। আকস্মিক বন্যা রোধে নদীগুলোর নাব্য রক্ষা ও পানির গতিপথ বাধাগ্রস্ত না করার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
গত বছর সিলেটসহ দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বন্যায় নাকাল হয় জনজীবন। সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশ এলাকা নিমজ্জিত হলে প্রচুর প্রাণহানি, বিপুল সংখ্যক বাড়িঘর ও গবাদিপশুর ক্ষয়ক্ষতি হয়। সম্প্রতি ভারতে অনুষ্ঠিত ২৮তম সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট আউটলুক ফোরামের সম্মেলনে বলা হয়, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ এশিয়ার বেশিরভাগ দেশে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হবে। যা স্থায়ী হবে টানা এক মাসেরও বেশি। এমন অবস্থায় আবহাওয়া বিভাগ বলছে, দীর্ঘ খরার প্রভাবে এবার বর্ষায় অতি বৃষ্টির কবলে পড়বে দেশ। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, এ পর্যন্ত পাওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগাম বন্যার সম্ভাবনা না থাকলেও ভরা বর্ষায় উত্তর-পূর্বাঞ্চল অস্বাভাবিক প্লাবিত হতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার আবহাওয়ায় ‘লা নিনা’ সক্রিয় হয়ে ওঠায় শিগগিরই এই অঞ্চলে অতিবৃষ্টি ও জলাবদ্ধতা তৈরি হবে বলে জানান তিনি। শুষ্ক মৌসুমে উজানে পানি প্রত্যাহারের ফলে নাব্যতা সংকটে চর পড়ে নদীর তলদেশ উচু হয়ে যাওয়া, অন্যদিকে অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণের ফলে পানির গতিপথ বাধাগ্রস্থ হওয়ায় বন্যার বিধ্বংসী ক্ষমতা বাড়ছে বলে মনে করেন পানি বিশেষজ্ঞরা।