যথাযথ ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সারাদেশে উদযাপিত হচ্ছে ঈদ
- আপডেট সময় : ০১:২৫:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ এপ্রিল ২০২৩
- / ১৬৭৩ বার পড়া হয়েছে
পবিত্র ঈদ-উল ফিতরে সারাদেশে যথাযথ ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন, রাজনীতিবিদ, প্রশাসন কর্মকর্তা, বিশিষ্টজনসহ লাখো মুসল্লি। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় মোনাজাত করা হয়।
নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্ববৃহৎ ঈদগা মাঠ দিনাজপুরের বড় ময়দানে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৯ টায় এই জামাত অনুষ্ঠিত হয় । দিনাজপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে আগত প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক মুসল্লী এই জামাতে অংশগ্রহণ করে । জামাতে ইমামতি করেন সদর হাসপাতাল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা শামসুল হক কাসেমী।
কিশোরগঞ্জের প্রায় দুইশত বছরের ঐতিহ্যবাহী শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করলেন লাখো মুসুল্লি। ১৯৬ তম ঈদুল ফিতরের এ জামাতে আশেপাশের জেলা ছাড়াও দেশ-বিদেশ মুসুল্লিরা অংশ নেন। শোলাকিয়ায় ঈদ জামাতকে ঘিরে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছিলো চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।ভোর থেকেই দলে দলে শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠে আসতে থাকেন মুসুল্লিরা। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর তত্বাবধানে স্ক্যানিং মেসিন ও মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে চেকিং করে মাঠে ঢুকতে হয় মুসুল্লিদের। সকাল ১০ টায় এ মাঠের একমাত্র জামাত হয়েছে। এর আগেই কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ মাঠ।
চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে ঈদের প্রধান ও প্রথম জামাতে ঢল নামে মুসল্লিদের। ইমামতি করেন, খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন আল কাদেরী।
রাজশাহীতে হযরত শাহ মখদুম (রহঃ) কেন্দ্রীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন, সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফর উল্লাহ্ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদসহ স্থানীয় মুসল্লিরা।
ময়মনসিংহে নগরীর আঞ্জুমান ঈদগাহ মাঠে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু, বিভাগীয় কমিশনার শফিকুর রেজা বিশ্বাস এবং জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমানসহ অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ ঈদের নামাজ পড়েন।
রংপুরে ঈদের প্রধান জামাত হয় কালেক্টরেট ময়দানে। অংশ নেন বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ প্রায় ৪০ হাজার মুসল্লী। নামাজ শেষে দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় মোনাজাত করা হয়।বরিশালে নগরীর হেমায়েত উদ্দীন ঈদগাহ মাঠে রাজনৈতিক ও প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নামাজ আদায় করেন সব শ্রেণিপেশার মানুষ। আর চরমোনাইয়ের বৃহৎ জামাতে নামাজ আদায় করেন, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম।
সিলেটের ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে ঈদের নামাজ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, সিলেট সিটি নির্বাচনে বিএনপির এক তৃতীয়াংশ প্রার্থী অংশ নিচ্ছেন-এটা সুখের বিষয়। তিনি আরও জানান, সিসিকের ৪২ওয়ার্ডে প্রায় ৪শ’ বিএনপি নেতাকর্মী প্রার্থী হচ্ছেন।
এদিকে খুলনায় ঈদের নামাজ শেষে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উন্নয়নের যে লক্ষ্য আছে, তা বাস্তবায়নে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন তিনি। অন্যদিকে, বিএনপির সাবেক মেয়র প্রার্থী বলেন, সরকারের দায়িত্ব-সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করে সবদলের অংশগ্রহণের পথ সুগম করে দেয়া, তা না হলে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে না।
কুষ্টিয়ায় কেন্দ্রীয় ঈদগাহসহ জেলার ১৩০ ঈদগাহে ঈদের প্রথম নামাজে অংশ নেন স্থানীয় মুসল্লিরা। হাজার হাজার মুসল্লীদের অংশগ্রহণে বাগেরহাট বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগুম্বুজ মসজিদে ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত হয়েছে।
সাভারের ভাগলপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় করেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা.এনামুর রহমান, পৌরমেয়র আব্দুল গণিসহ কয়েক হাজার মুসল্লি।
নারায়ণগঞ্জে নগরীর এ কে এম সামসুজোজাহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠ ও কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহ মাঠ যুক্ত করে ঈদ জামাতের আয়োজন করা হয়। প্রথম জামাতে অংশ নেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ও জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজসহ স্থানীয় মুসল্লিরা।
এছাড়াও- সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, নাটোর, নড়াইল, পটুয়াখালী, টাঙ্গাইল, নোয়াখালী, পাবনা, কুড়িগ্রাম, নেত্রকোনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মাদারীপুর, কুমিল্লা, মেহেরপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাতে নামাজ আদায় করেন স্থানীয় হাজারও মানুষ।