যাত্রী উদ্ধারে মানবতার উদহারণ দিয়াকুল ও চরবাটারা কন্দারবাসী
- আপডেট সময় : ০৬:১৫:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
গভীর রাতে লঞ্চে লাগা আগুনে শত শত যাত্রী উদ্ধার ও সহায়তায় মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝালকাঠিবাসী। নদী পাড়ের দুই গ্রাম দিয়াকুল আর চরবাটারা কন্দার গ্রামবাসী এবং জেলা শহরের এক ট্রলার চালকের মানবতা হৃদয় স্পর্শ করেছে সবার। দরিদ্র ওই ট্রলার চালক বিনা ভাড়ায় ৩০০ যাত্রী পারাপার করেন। গ্রামবাসীর মধ্যে কেবল পুরুষই নয়, নারীরাও এগিয়ে আসেন নানা সহযোগিতা নিয়ে।
ঝালকাঠির দরিদ্র ট্রলার চালক মিলন খান। যার সংসারে নুন আন্তে পান্তা ফুরায়। অথচ এই দরিদ্র ট্রলার চালকই লঞ্চের আগুনে নদীতে ঝাঁপ দেয়া
৩০০ যাত্রীকে বিনে পয়সায় পারাপার করেন। দেখিয়ে দেন হাসপাতালের পথ। ঘরে স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে পাঁচজনের সংসার তাঁর। লঞ্চঘাট এলাকায় সুগন্ধার এপার-ওপার ট্রলার চালিয়েই চলে সংসার। তবে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দিন তিনি কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। ঘটনার দিন রাত ৩টা থেকে পরদিন শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আহত যাত্রীদের পারাপারের কাজ করেছেন। এমন কাজে নিজেক সম্পৃক্ত হওয়ার সুযোগ পাওয়ায় নিজেকে অনেকটাই গর্বিত মনে করছেন তিনি।
রাত থেকে সকাল পর্যন্ত লঞ্চের অন্তত ৩শ’ যাত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ঝালকাঠির সুগন্ধা পাড়ের দিয়াকুল ও চরবাটারকান্দা গ্রামের শত-শত মানুষ। আহতদের নদী থেকে উদ্ধারের পর শীতের কাপড়, গরম চা, পানি ও টাকা দিয়ে নদীতে ঝাঁপ দেয়া যাত্রীদের সহযোগিতা করেন তারা।
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী অভিযান-১০ লঞ্চটি গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে আগুন ধরে যায়। এতে এখন পর্যন্ত ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন এখনো ৫১ জন।