১১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪

যাদের জমির ওপর মন্দির প্রতিষ্ঠিত তাদেরই প্রবেশাধিকার নেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২
  • / ১৭৪২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

যাদের জমির ওপর মন্দির প্রতিষ্ঠিত তাদেরই প্রবেশাধিকার নেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। ৬ মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের কথা বলে উচ্ছেদ করা হয় মন্দিরের সেবায়েত দাবিদার পল্টন দাশ ও তার পরিবারকে। কিন্তু ১৮ বছরেও ফিরে পাননি বসত ভিটা এমনকি সেবায়েতের সম্মানটুকুও। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উচ্চ আদালতসহ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আকুতি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করছে ঢাকেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ছেলে আর নাতনীর হাত ধরে উচ্চ আদালতের সামনে ঘুরে বেড়ানো এই বৃদ্ধার নাম মমতা রানী দাশ। তার দাবি, বংশ পরম্পরায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত ছিলেন তার স্বামী। ১৯৯০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সপরিবারে নির্যাতিতও হন তারা। ফের তার জীবনে অন্ধকার নামে ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত আমলে।

১৯৮৪ সালে সেবায়েতের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দীরে পুজা শুরু করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। পরে স্থাপনা নির্মাণের কথা বলে জোর করে মন্দিরের আঙিনার বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয় সেবায়েতদের । এমনকি দায়িত্বও কেড়ে নেয়া হয়। এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।

ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ন রায় বাহাদুর সংস্কার করার পাশাপাশি ২০ বিঘা দেবোত্তর সম্পত্তি মন্দিরের নামে রেকর্ডভুক্ত করেন। যার মধ্যে ৩ বিঘা জমি ৪ সেবায়েতের নামে দলিল করে দেন। ধাপে ধাপে সেসব সেবায়েতরা দেশ ছাড়লেও এখন একমাত্র দাবিদার রঞ্জিত দাশের উত্তরাধিকারীরা।

ভুক্তভোগীর আইনজীবীর দাবি, মন্দিরের নানান অনিয়ম আর দুর্নীতির বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে রয়েছে।

তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, পল্টন দাশের পরিবার এমনকি তার পুর্বপুরুষদের কেউই মন্দিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।

তবে সিএস, আরএস, সিটি জরিপসহ সব রেকর্ডে পল্টন দাশের পুর্বপুরুষদের নাম রয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

যাদের জমির ওপর মন্দির প্রতিষ্ঠিত তাদেরই প্রবেশাধিকার নেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে

আপডেট সময় : ০২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ মার্চ ২০২২

 

যাদের জমির ওপর মন্দির প্রতিষ্ঠিত তাদেরই প্রবেশাধিকার নেই ঢাকেশ্বরী মন্দিরে। ৬ মাসের মধ্যে পুনর্বাসনের কথা বলে উচ্ছেদ করা হয় মন্দিরের সেবায়েত দাবিদার পল্টন দাশ ও তার পরিবারকে। কিন্তু ১৮ বছরেও ফিরে পাননি বসত ভিটা এমনকি সেবায়েতের সম্মানটুকুও। নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠায় উচ্চ আদালতসহ দ্বারে দ্বারে ঘুরে বিচার না পেয়ে অবশেষে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার আকুতি জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবার। তবে পুরো বিষয়টিই অস্বীকার করছে ঢাকেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষ।

ছেলে আর নাতনীর হাত ধরে উচ্চ আদালতের সামনে ঘুরে বেড়ানো এই বৃদ্ধার নাম মমতা রানী দাশ। তার দাবি, বংশ পরম্পরায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরের সেবায়েত ছিলেন তার স্বামী। ১৯৯০ সালের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সপরিবারে নির্যাতিতও হন তারা। ফের তার জীবনে অন্ধকার নামে ২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত আমলে।

১৯৮৪ সালে সেবায়েতের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়ে ঢাকেশ্বরী মন্দীরে পুজা শুরু করে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটি। পরে স্থাপনা নির্মাণের কথা বলে জোর করে মন্দিরের আঙিনার বাস্তুভিটা থেকে উচ্ছেদ করা হয় সেবায়েতদের । এমনকি দায়িত্বও কেড়ে নেয়া হয়। এখন দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা।

ভাওয়াল রাজা রাজেন্দ্র নারায়ন রায় বাহাদুর সংস্কার করার পাশাপাশি ২০ বিঘা দেবোত্তর সম্পত্তি মন্দিরের নামে রেকর্ডভুক্ত করেন। যার মধ্যে ৩ বিঘা জমি ৪ সেবায়েতের নামে দলিল করে দেন। ধাপে ধাপে সেসব সেবায়েতরা দেশ ছাড়লেও এখন একমাত্র দাবিদার রঞ্জিত দাশের উত্তরাধিকারীরা।

ভুক্তভোগীর আইনজীবীর দাবি, মন্দিরের নানান অনিয়ম আর দুর্নীতির বিষয়টি উচ্চ আদালতের নজরে রয়েছে।

তবে মন্দির কর্তৃপক্ষের দাবি, পল্টন দাশের পরিবার এমনকি তার পুর্বপুরুষদের কেউই মন্দিরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন।

তবে সিএস, আরএস, সিটি জরিপসহ সব রেকর্ডে পল্টন দাশের পুর্বপুরুষদের নাম রয়েছে।