যানবাহন খরচ ও শ্রম মুল্যের অর্ধেকও পাচ্ছেনা বরিশালের চামড়া ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫৪৭ বার পড়া হয়েছে
বরিশালে চামড়ার দাম এতই নিম্নগতি যে, যা যানবাহন খরচ ও শ্রমের মূল্যের অর্ধেকও নয়। তবে চামড়ার আড়তদারদের দাবি, ঢাকার ট্যানারী ব্যাবসায়ীরা বছরের পর বছর টাকা আটকে রাখায় নগদ অর্থ না থাকায় চামড়ার দাম বাড়ছে না। চামড়ার দামের নিম্নগতির জন্য ট্যানারী ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন তারা।
এ বছর গরুর চামড়া একশ’ থেকে দেড়শ’ এবং ছাগলের চামড়া ৫০ টাকায় ক্রয় করেছেন আড়তদাররা। এ কারনে নগরীসহ জেলার ১০ উপজেলায় কোরবানীকৃত পশুর চামড়ার দাম নিম্নগতি থাকায় বেশীরভাগ চামড়া মাদ্রাসার এতিম ছাত্রদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং-এ বিনামূল্যে দান করা হয়েছে। ওই বিনামূল্যের চামড়া এবং স্বল্প সংখ্যক মৌসুমী ব্যবসায়ীর সংগ্রহকৃত চামড়া আড়তদারদের নিকট বিক্রি করতে গিয়ে দাম শুনে হতবাক তারা।
বিনামূল্যে পাওয়া চামড়ার যে দাম বলছে তা দিয়ে যাতায়াত ও শ্রমের মূল্য উঠছে না। এভাবে দাম চলতে থাকলে মাদ্রাসার গরীব ছাত্রদের শিক্ষাদানে ক্ষতির সম্মুখীণ হবে, বললেন মাদ্রাসার শিক্ষকরা।ঢাকার ট্যানারী মালিকরা বকেয়া টাকা না দেয়ায় নগদ অর্থের অভাবে ৫৪ আড়ত মালিকের মধ্যে মাত্র ৪জন আড়তদার চামড়া ক্রয় করেছেন। ট্যানারী মালিকদের কাছে ২৪ লাখ টাকা বকেয়া থাকায় ব্যবসা থেকে সরে আসেন এই ব্যবসায়ী।
এদিকে, গত ১০ বছরের ব্যবধানে ঢাকার ট্যানারী ব্যবসায়ীদের নিকট বরিশাল নগরীর পদ্মাবতী চামড়া মোকামে অর্ধশত ব্যবসায়ীর বকেয়া পড়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকা। গত বছর ঢাকায় সরকার-ট্যানারী ও আড়তদার নেতাদের বৈঠকে তিনমাসের মধ্যে টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও তা আজো বাস্তবায়নি হয়নি।