‘যাবজ্জীবন’ ব্যাখ্যায় রিভিউ আবেদনের রায় ১ ডিসেম্বর
- আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ নভেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
যাবজ্জীবন মানে কি আমৃত্যু কারাদন্ড নাকি ৩০ বছর কারাবাস, তা নির্ধারণের জন্য করা রিভিউ আবেদনের উপর আপিল বিভাগে শুনানি শেষ, ১লা ডিসেম্বর রায় দেবে আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্ব ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই দিন ঠিক করেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ড কত বছর, সে বিষয়ে আপিল বিভাগের দুটি রায়ে দুই রকম সিদ্ধান্ত দেয়ায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পুনর্বিবেচনার এই আবেদন করেন কারাবন্দি মানিকগঞ্জের আতাউর রহমান। বাংলাদেশের আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হিসেবে ৩০ বছর বলা আছে, যা রেয়াত পাওয়ার পর সাড়ে ২২ বছর হয়। প্রতিবেশী ভারতের আইনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হিসেবে আমৃত্যু কারাদণ্ড করা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে আইনে আছে ৩০ বছর। এটা যদি পরিবর্তন করতে হয় তবে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ (এ), ৪০১ ও ৪০২ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৫৫ ধারা সংশোধন করতে হবে। এছাড়াও কারাবিধি সংশোধন করতে হবে। সাভারে ২০০১ সালে একটি হত্যা মামলায় ২০০৩ সালে ঢাকার একটি আদালত আতাউরের পাশাপাশি কামরুল ও আনোয়ার নামের আরও দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। এ সাজার বিরুদ্ধে আতাউর ও আনোয়ার হাইকোর্টে আপিল করেন। ২০০৭ সালে হাইকোর্টের দেয়া রায়ে তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা হয়। এর বিরুদ্ধেও আতাউরসহ আসামিরা আপিল করেন। শুনানি শেষে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আসামিদের দণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন সাজা দেয়। পরে ওই বছরের ৬ নভেম্বর রায়টি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েব সাইটে প্রকাশ করা হয়; সে রায়ে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস। এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে।