যুবলীগ নেতা এলিটের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, গ্রেফতার ১
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬০৯ বার পড়া হয়েছে
কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত এই ব্যক্তিকে আটক করা হয়। জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের মেঝো ছেলে মাহবুব রহমান রুহেলের পিএস এই হাবিব খান।
আটককৃত আবুল হাসনাতের দেওয়া তথ্যসূত্র ধরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টার, মো. মাহফুজুল হক ওরফে লেবার জুনুর বাসায় অভিযান চালায়। কিন্তু তারা পালিয়ে যায়। অভিযুক্ত আরেক আসামি মো. আনিসুর রহমান রিফাত। তারা সবাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের অনুসারি বলে স্থানীয়রা জানায়।
কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা এলিটের বিরুদ্ধে চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এর প্রেক্ষিতে গত ৩ আগস্ট নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের প্রধান রাজনৈতিক সমন্বয়ক ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি, যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বনানী থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করেন।
আটককৃতদের মধ্যে আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান ও জাহাঙ্গীর হোসেন মাস্টারের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা, চুরি ও ভাঙচুরের ঘটনায় মিরসরাই থানায় একাধিক মামলা চলমান। এ সকল মামলায় জাহাঙ্গীর হোসেন ইউপি চেয়ারম্যান হওয়ায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়।
আটককৃত হাবিব খান সাইবার অপরাধী হিসেবে মিরসরাইয়ে খ্যাতি রয়েছে। এর আগে সাইবার ট্রাইবুনালে প্রবাসী সিআইপি ফখরুল ইসলাম খানসহ অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেন এবং মামলা করেন যা বিচারাধীন।
তার আগে, গত বছরের ১৯ নভেম্বর একই অভিযোগে আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আশরাফুল কালাম মিঠু নামে একজনকে আটক করেছিল ডিবি পুলিশ। অভিযোগে হাবিব খানকে রাজাকার পরিবারের সন্তান এবং মিঠুকে ছাত্রদলের সাবেক অস্ত্রধারী ক্যাডার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। পরে প্রশাসনের মধ্যস্থতায় স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে উভয় পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মিমাংসা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ কর্মী মো. আছিফুর রহমান বলেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। বিষয়টি নিয়ে আসামিদের বার বার সতর্ক করা হলেও তারা কর্নপাত করেননি। বাধ্য হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।
তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর পাশাপাশি আসামিরা বিভিন্ন সময় কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বাড়িতে সশস্ত্র হামলা করেছে। এমনকি গত ১৭ জুন মিরসরাইয়ে এলিটের নেতৃত্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন কর্মকাণ্ড প্রচারের সময় ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রচারণায় অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।
সূত্র : গণমাধ্যম