রন্ধন শিল্পী মেহেরুন আক্তার মেরির এগিয়ে চলা
- আপডেট সময় : ০৪:০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ নভেম্বর ২০২৩
- / ২৪৯৩ বার পড়া হয়েছে
বর্তমানে বাংলাদেশের সম্ভাবনাময়ী রন্ধন শিল্প মেহেরুন আক্তার মেরি। ইতিমধ্যেই তার হাতের রান্নার জাদু দিয়ে জয় করে নিয়েছেন অসংখ্য দর্শক-পাঠকের হৃদয়। নিয়মিত পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন চ্যানেলে রান্নার রেসিপি নিয়ে হাজির হবার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেও বিজয়ী হয়েছেন তিনি অসংখ্যবার। এছাড়াও অল্প সময়েই বাংলাদেশের রন্ধন শিল্পে নিজের একটা অবস্থান গড়েছেন তিনি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবিনগর উপজেলার ধনাশী গ্রামের একটি সম্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স এবং মাস্টার্স শেষ করেন তিনি।
এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ ন্যাশনাল হোটেল এন্ড ট্যারিজম ইনস্টিটিউট থেকে ফুড এন্ড বেভারেজের উপর ডিপ্লোমা করেন এবং হাইজেন কোর্সও করেন। তিনি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফুডের উপরে ইন্টার্নিপেস্টি এন্ড বেকারির ওপর শেষ করে। বর্তমানে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে কর্মরত আছে। পাশাপাশি আইটিআইসিএ বেকিংয়ের উপর বিশেষ কোর্স করছেন।
দেশি-বিদেশি বিভিন্ন স্বাদের মজাদার সব রান্নার রেসিপি নিয়ে নিয়মিত হাজির হচ্ছেন বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল থেকে শুরু করে পত্র-পত্রিকা ও ম্যাগাজিনগুলোতে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন গ্রুপে তো নিয়মিত তার রান্নার জাদু থাকছেই দর্শক-পাঠকদের জন্য। মজার মজার রান্নার রেসিপি দিয়ে রসনাবিলাসী বাঙালির মন জয় করে আরো উৎসাহ নিয়ে তিনি আবার ক্যাটারিং সার্ভিস চালুর মধ্যদিয়ে রান্না শিল্পকে পেশা হিসেবেও বেছে নিয়েছেন।
তিনি দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজের সুনাম এবং খ্যাতি অর্জন করেছেন। সম্প্রতি তিনি মালয়েশিয়াতে ‘ইন্ডিয়ান কারি’ ক্যাটাগরিতে ‘কালিনারি ওয়ার্ল্ড কাপ ২০২৩’ সম্মাননা পেয়েছেন। এছাড়াও ইন্ডিয়া ও সাউথ এশিয়ান ‘কালিনারি ওয়ার্ল্ড কাপ’ এ বেস্ট কনফেকশনারী অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ান রয়েল বাংলা মাস্টারশেফ অর্গানাইজেশনের জুরি বোর্ড মেম্বার। এছাড়াও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ অসংখ্য পুরস্কার অর্জন করেছেন।
মেহেরুন আক্তার মেরি জানান, ‘রন্ধন শিল্পের উপর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বাংলাদেশ রন্ধন শিল্পী অনন্য এক ভুমিকা রাখতে চান। সুযোগ পেলে দেশ মাটি ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার অদম্য ইচ্ছে পোষণ করেন। ছিন্নমূলহীন অবহেলিত নারী সমাজের পাশে দাড়াতে চান।’