রপ্তানীমুখী শিল্প-কারখানা চালু
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ১ অগাস্ট ২০২১
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে রপ্তানীমুখী শিল্প-কারখানা খুলেছে। সকাল ৮টার মধ্যে নিজ নিজ কারখানায় যোগ দিয়েছেন অধিকাংশ শ্রমিক। তবে গ্রামের বাড়ী থেকে সব শ্রমিকের সপরিবারে কর্মস্থলে ফিরে আসতে আরো অন্তত ৩/৪ দিন সময় লাগবে। দক্ষিণাঞ্চলের শ্রমিকরা ঢাকা ফিরতে ব্যবহার করছেন শিমুলিয়া-বাংলাবাজার এবং দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথ। আর উত্তর বঙ্গ থেকে সড়ক পথে ফিরছেন অনেকে। তবে ভোগান্তি পিছু ছাড়ছে না তাদের। সঙ্গে গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ/তিনগুণ ভাড়া। যাত্রীর চাপ থাকায় সোমবার সকাল পর্যন্ত লঞ্চ চলবে বলে জানিয়েছে, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ।
গাজীপুরে ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের চাপ। সকাল থেকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর বাইপাস ও চন্দ্রাতে ছিল বাড়তি গাড়ির চাপ।
রোববার বিশেষ ব্যবস্থায় গণপরিবহন চলতে শুরু করায় সকাল থেকেই ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যাত্রী অনেক। সুযোগে কয়েকগুণ ভাড়া বেশি দাবী করছে পরিবহন মালিকরা। গণপরিবহন ছাড়াও ট্রাক, অটো রিকশা, পিকাপভ্যান ও ব্যক্তিগত গাড়ি দেখে গেছে এই অঞ্চলের মহাসড়কে।
গণপরিবহন চালুর খবর স্বস্তিদায়ক হলেও যানজটে দুর্ভোগ বেড়েছে কর্মস্থলে ফিরছেন এমন যাত্রীদের। সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
ঢাকামুখী গণপরিবহনের চাপ বাড়তে থাকায় টাঙ্গাইলে বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রাবনা বাইপাস পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে থেমে-থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শিল্প কারখানা চালুর প্রথম দিনেই শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন অনেক পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে অফিসে যোগ দিয়েছেন তারা।
শিল্প ও কলকারখানার খোলার সরকারী সিদ্ধান্তের পর রাজশাহী থেকেও ঢাকামুখী বাস চলাচল শুরু হয়েছে। যাত্রীদের অভিযোগ, সরকার ৬০ শতাংশ বাড়িয়েছে, কিন্তু ভাড়া নেয়া হচ্ছে তার দ্বিগুণ।
কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢল দেখা দিয়েছে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ-পথে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী পরিবহনে ভাড়া নৈরাজ্য, পরিবহন সংকট।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে আজও মানুষের বাড়তি চাপ। চাপ তেমন নেই শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে। যাত্রীদের অভিযোগ, ফেরিঘাট পর্যন্ত আসতে অতিরিক্ত ভাড়া গুণতে হয়েছে তাদের।