এলসি খুলতে পারছে না খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা
- আপডেট সময় : ০২:৩৫:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২২
- / ১৬৭২ বার পড়া হয়েছে
রমজানের চাহিদা সম্পন্ন খাদ্যপণ্য আমদানীতে ঋণপত্র খুলতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে সেই নির্দেশনার কোন বাস্তবায়ন নেই।
তাই দিনের পর দিন এ-ব্যাংক-ও-ব্যাংক ঘুরেও এলসি খুলতে পারছেন না খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। এভাবে চললে রমজানের বাজার ফের অস্থির হয়ে উঠবে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, এলসি খোলার এই সুযোগ বড় শিল্পগ্রুপ হাতিয়ে নিচ্ছে। এ ব্যপারে সরকারের কঠোর নজরদারী চান তারা।
চলমান ডলার সংকট মোকাবিলায় সব ধরণের আমদানী নিরুৎসাহিত করছে সরকার। এতে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে চরম পর্যায়ে। নিত্যপণ্যের বাজারে আগুন লেগেছে। এই বাস্তবতায় আসছে রমজানের বাজার নিয়ন্ত্রনে অতি চাহিদাসম্পন্ন পণ্যের ক্ষেত্রে এলসি সহজীকরণ করতে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন নেই।
দেশের সবচেয়ে বড় পাইকারী বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের প্রতিটি গুদাম এখন ফাঁকা। ডলারের বাজার অস্থির হওয়ার পর থেকেই এই বাজারে আমদানী নিন্মমুখী। আর এলসির ওপর কড়াকরির পর তা নেমে আসে অর্ধেকের নিচে। এভাবে চলতে থাকলে রমজানের নিত্যপণ্যে আরেক দফা অস্থিরতা তৈরী হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দাবি, ক’বছর ধরে নিত্য পণ্যের বাজারে প্রবেশ করেছে বহুজাতিক কোম্পানী। তাই এলসি সহজীকরণের সিদ্ধান্তের সুফল পাচ্ছেন না ক্ষুদ্র আমদানীকারকরা। ফলে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে।
ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ছোট-বড় ব্যবসায়ী এবং পণ্য; একটার সঙ্গে অন্যটার নিবির সম্পর্ক। এলসির ক্ষেত্রে কোন খাতে কতোটুকু ছাড় দেয়া হবে তা নির্ধারণ করতে হবে সরকারকে। নইলে আবারো অপচয় হবে বৈদেশিক বিনিময় মুদ্রার।
দেশের মোট চাহিদার অন্তত ৩৫ ভাগ নিত্য পন্যের জোগান দেয় খাতুনগঞ্জ। টাকার অবমুল্যায়ন, ডলারের সংকটসহ নানা কারণে কয়েক মাস ধরেই অস্থিরতা বিরাজ করছে এই বাজারে।