রশিদ-ডালিম-মোসলেম উদ্দিনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে সঠিক কোন তথ্য নেই
- আপডেট সময় : ০১:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০
- / ১৫২৩ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসি কার্যকর না করা পর্যন্ত সরকারের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রাশেদ চৌধুরী এবং কানাডায় থাকা নূর চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি। তবে রশিদ-ডালিম-মোসলেম উদ্দিনের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে সরকারের কাছে সঠিক কোন তথ্য নেই বলেও জানান আইনমন্ত্রী।
৭৫ এর ১৫ আগস্ট। ধাণমণ্ডির ৩২ নম্বরে নির্মম পৈশাচিকতায় সপরিবারে হত্যা করা হয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে । খুনীদের নির্মমতা থেকে বাদ পড়েনি ১১ বছরের ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও। নির্মম ওই হত্যাকাণ্ডের ৩৪ বছর পর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় ৫ খুনীর ফাঁসি কার্যকর করে সরকার। জিম্বাবুয়ে পলাতক অবস্থায় মারা যান আরেক খুনী আজিজ পাশা।
মুজিববর্ষে ১২ এপ্রিল ফাঁসি দেয়া হয় বঙ্গবন্ধু আত্মস্বীকৃত আরেক খুনী অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনী লে কর্নেল এম রাশেদ চৌধুরী। চলতি বছর ১৭ জুন বঙ্গবন্ধুর পলাতক এই খুনীর দেশে ফেরার বিষয়ে আশার কথা শোনায় মার্কিন অনলাইন জার্নাল পলিটিকো। রাজনৈতিক আশ্রয়ের বিষয়ে মার্কিন অ্যাটর্নি বিল বারের তলবি নোটিশ উল্লেখ করে পলিটিকোর আইনি কলামের শিরোনামটি ছিল অনেকটাই এরকম। তিনি ভেবেছিলেন তিনি রাজনৈতিক আশ্রয়ে আছেন, এখন তাকে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হতে পারে।
এমন পরিস্থিতিতে রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে আনা এবং পলাতক ডালিম, মোসলেম ও রশিদের অবস্থান সম্পর্কে কথা বলেন আইনমন্ত্রী। কানাডায় থাকা বঙ্গবন্ধুর আরেক খুনী নূর চৌধুরীকে দেশে ফেরানো বিষয়েও সবশেষ অগ্রগতি নিয়েও কথা বলেন তিনি। পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সরকারে কঠোর অবস্থানও তুলে ধরেন আনিসুল হক। তবে আগস্ট এলেই ফুলেল শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার পাশাপাশি খুনীদের প্রতি ধিক্কার জানায় শোকাহত বাঙালিরা।