১০:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ অটো-রিকশা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১৫৩৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

হাইওয়ে ও রাজধানীতে চলাচলে নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশাগুলো যেন এখন মৃত্যু ফাঁদ।অথচ মহানগরীর প্রধান সড়কগুলোতে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে চলছে এসব যান। এতে প্রতিনিয়ত যেমন দুর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে যানজটও। নাকাল নগরবাসির ভুগান্তি কমাতে কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজর। সাধারণ মানুষের অভিযোগ–স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের যোগসাজশে প্রধান সড়কগুলোতে চলছে অটো রিকশা। যদিও ট্রাফিক প্রশাসন দাবি করছে তারা দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এদিকে, দ্রুত পর্যবেক্ষন করে অটো রিকশা পুরোপুরি বন্ধে আশারবাণী শুনালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মো: আল আমিন। তিন ভাই বোনের সবার ছোট। থাকে যাত্রাবাড়ীর শেখদিতে। বাবা মোশারফ হোসেন, চালাতেন ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। এক দুর্ঘটায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আল আমিনের বাবা। সংসাবের হাল ধরতে মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার পথ অনুসরণ করেছেন ঠিকই তবে, ঘাতক ব্যাটারি চালিত যান নয়। পায়ে চালিত রিকশায় ভরসা আল আমিনের।

দুর্ঘটনার এমন দৃষ্টান্ত আছে অসংখ্য। অদক্ষতার কারণে কখনো চালক কখনওবা পথচারী শিকার হন দুর্ঘটনার। বেপরোয়া চলাচলে তীব্র যানজট সৃষ্টিরও অন্যতম কারণ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। যার ভোগান্তিতে নাকাল সাধারণ মানুষ। তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। এভাবে কয়েক লক্ষ্য ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে গ্যারেজে। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটো-রিকশা মালিকরা।

অনুমোদন না থাকলেও এসব অটো রিকশার গদির নিচে রয়েছে মাসভিত্তিক স্টিকার। যার কল্যানেই ট্রাফিকের নাকের ডগায় অবাধে চলাফেরা করতে পারে এসব অবৈধ যান।

এমন বাস্তবতা অবশ্য অস্বিকার করেছেন ট্রাফিক প্রশাসন। রাস্তায় দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে দাবি তাদের।

রাজধানীতে কি পরিমান ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা রয়েছে তার পরিসংখ্যান যানা নেই দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে। কার ইন্দনে চলছে এসব অবৈধ যান, তারও নেই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য।তবে দ্রুত পর্যবেক্ষন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেছেন আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এমন যানবাহনের কোন যুক্তিকতা নেই।

প্রধান সড়কগুলো বাইরে শাখা সড়কগুলোকে পরিকল্পনায় আনার তাগিদ দেন এই পরিকল্পনাবিদ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজধানীতে নিয়ন্ত্রণহীন অবৈধ অটো-রিকশা

আপডেট সময় : ০২:০৮:২৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

হাইওয়ে ও রাজধানীতে চলাচলে নিষিদ্ধ ব্যাটারি চালিত অটো-রিকশাগুলো যেন এখন মৃত্যু ফাঁদ।অথচ মহানগরীর প্রধান সড়কগুলোতে নিয়ন্ত্রনহীনভাবে চলছে এসব যান। এতে প্রতিনিয়ত যেমন দুর্ঘটনা বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে যানজটও। নাকাল নগরবাসির ভুগান্তি কমাতে কর্তৃপক্ষের নেই কোন নজর। সাধারণ মানুষের অভিযোগ–স্থানীয় প্রভাবশালী ও পুলিশের যোগসাজশে প্রধান সড়কগুলোতে চলছে অটো রিকশা। যদিও ট্রাফিক প্রশাসন দাবি করছে তারা দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন। এদিকে, দ্রুত পর্যবেক্ষন করে অটো রিকশা পুরোপুরি বন্ধে আশারবাণী শুনালেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম।

মো: আল আমিন। তিন ভাই বোনের সবার ছোট। থাকে যাত্রাবাড়ীর শেখদিতে। বাবা মোশারফ হোসেন, চালাতেন ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। এক দুর্ঘটায় পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন আল আমিনের বাবা। সংসাবের হাল ধরতে মাত্র ১২ বছর বয়সে বাবার পথ অনুসরণ করেছেন ঠিকই তবে, ঘাতক ব্যাটারি চালিত যান নয়। পায়ে চালিত রিকশায় ভরসা আল আমিনের।

দুর্ঘটনার এমন দৃষ্টান্ত আছে অসংখ্য। অদক্ষতার কারণে কখনো চালক কখনওবা পথচারী শিকার হন দুর্ঘটনার। বেপরোয়া চলাচলে তীব্র যানজট সৃষ্টিরও অন্যতম কারণ ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা। যার ভোগান্তিতে নাকাল সাধারণ মানুষ। তাছাড়া এসব যানে ব্যবহৃত হচ্ছে অবৈধ বিদ্যুৎ। এভাবে কয়েক লক্ষ্য ব্যাটারি চার্জ দেয়া হচ্ছে গ্যারেজে। এতে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর লাভবান হচ্ছে অসাধু অটো-রিকশা মালিকরা।

অনুমোদন না থাকলেও এসব অটো রিকশার গদির নিচে রয়েছে মাসভিত্তিক স্টিকার। যার কল্যানেই ট্রাফিকের নাকের ডগায় অবাধে চলাফেরা করতে পারে এসব অবৈধ যান।

এমন বাস্তবতা অবশ্য অস্বিকার করেছেন ট্রাফিক প্রশাসন। রাস্তায় দেখা মাত্রই ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে দাবি তাদের।

রাজধানীতে কি পরিমান ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা রয়েছে তার পরিসংখ্যান যানা নেই দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে। কার ইন্দনে চলছে এসব অবৈধ যান, তারও নেই সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য।তবে দ্রুত পর্যবেক্ষন করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামের।

নগর পরিকল্পনাবিদরা বলেছেন আধুনিক নগর ব্যবস্থাপনায় এমন যানবাহনের কোন যুক্তিকতা নেই।

প্রধান সড়কগুলো বাইরে শাখা সড়কগুলোকে পরিকল্পনায় আনার তাগিদ দেন এই পরিকল্পনাবিদ।