রাজধানীতে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
- আপডেট সময় : ০৫:৩৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৭৬৫ বার পড়া হয়েছে
দেশের উত্তরাঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। ঘন কুয়াশার কারণে দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি।
চরম বৈরী আবহাওয়ায় বিপর্যস্ত দিনাজপুরের জনজীবন। দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ সাড়ে ৮.৫ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে দিনাজপুরে। এতে জবুথবু অবস্থা দিনাজপুরের ১৩টি উপজেলার মানুষের। ক্ষতি হচ্ছে ধানের বীজতলাসহ আলু ফসলের। দিনের বেলায়ও হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে যানবাহন।
ঘন কুয়াশার কারণে টানা পাঁচদিন ধরে সূর্যের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না পঞ্চগড়ের মানুষ। সারাদিন বয়ে চলা হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতাকে আরও কঠিন করে তুলেছে। বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। সকাল ৬টায় তেতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র শীতে কাঁপছে বগুড়াসহ উত্তরের জনপদ। বইছে কনকনে ঠান্ডা বাতাস। আগামী আরো ৩ দিন এমন শীত অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। এসময় ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে। শীতে নওগাঁর মানুষের জীবনে নেমেছে স্থবিরতা। গেল দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। সন্ধ্যা থেকে শুরু করে দুপুর পর্যন্ত থাকছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশার আর হিমেল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের অনুভূতি। ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় কুড়িগ্রামে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সূর্যের অভাবে রাতদিনের তাপমাত্রা প্রায় সমান হওয়ায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। হাসপাতালে বাড়ছে ডায়রিয়া নিউমোনিয়া শ্বাসকষ্টসহ শীতজনিত রোগীর সংখ্যা।
ঝিনাইদহে তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। মৃদু শৈত্য প্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে অন্যান্য প্রাণীকুলও। সকাল হলেও দেখা মেলেনি সুর্যের। একটু উষ্ণতা পেতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন অনেকে। তারপরেও শীত উপেক্ষা করে কাজে ছুটছেন দিনমজুরসহ খেটে খাওয়া মানুষ। পটুয়াখালীতে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো পড়ছে ঘন কুয়াশা। বেলা বাড়লেও দেখা মিলছে না সূর্যের। দুপুর পর্যন্ত হেডলাইট জালিয়ে চলছে গাড়ি। হাড় কাপানো তীব্র শীতে কাপছে মানুষ। চুয়াডাঙ্গায় তিন দিন ধরে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এতে জেলার ৪ উপজেলার ১৪ লাখ মানুষ জবুথবু হয়ে পড়েছে। জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলাতে কয়েকদিন ধরে জেঁকে বসেছে শীত। নিম্ন আয়ের মানুষদের রক্ষায় বেড়িঁবাধ ঘুরে ঘুরে শীতবস্ত্র হিসেবে কম্বল বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান। ভোলার ধনিয়ার কোরারকাট বেড়িঁবাধ, শিবপুর শান্তিরহাট এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন তিনি। সাতক্ষীরায় ঘন কুয়াশা ও তীব্র শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়েছে।সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জুলফিকার আলী রিপন জানান, সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।