রাজধানীতে শুধুমাত্র বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বেড়েছে
- আপডেট সময় : ০৩:০৭:৪০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মে ২০২০
- / ১৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
করোনার সংক্রমণরোধে টানা সাধারণ ছুটিতে মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হলেও, রাজধানীতে শুধুমাত্র বাস ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বেড়েছে। গার্মেন্ট ও কল-কারখানার সাথে ১০ মে থেকে মার্কেট ও দোকান খোলার সংবাদে যানবাহনের সাথে বেড়েছে মানুষের ভিড়। নগরীর কোথাও কোথাও যানজটও দেখা যাচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্য বাড়ায় এখন নগরীর চেকপোষ্ট ও সিগনালে দায়িত্ব পালনে শিথিলতা দেখাচ্ছে পুলিশ। এ অবস্থায় আগামী দিনে করোনা পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ কমাতে ১৬ মে পর্যন্ত টানা ছুটিতে দেশ। এমন পরিস্থিতির মধ্যে শনাক্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা।
তবে সীমিত পরিসরে গার্মেন্ট ও কল-কারখানা খুলে দেয়ায় বেশকিছুদিন ধরে রাজধানীতে বাড়ছে মানুষের উপস্থিতি। ১০ মে থেকে নগরীর মার্কেট ও দোকান খুলে দেয়ার সংবাদে সব ধরণের যানবাহন ও মানুষের চলাচল বেড়ে নগরীতে যানজট দেখা দিয়েছে। জীবিকার তাগিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও বাইরে বের হচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, নিরাপত্তা বিধান ও সড়কে অপ্রয়োজনীয় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকে পুলিশের টহল ও চেকপোষ্ট ছিলো চোখে পড়ার মতো। গেল কদিন পুলিশ সদস্যদের আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায়, সিগনাল ও চেকপোষ্টে পুলিশের উপস্থিতি কমে গেছে। তবে ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন অনেকে।
করোনা সংক্রমন ঠেকাতে ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত করায় ব্যাংকগুলোর সামনে গ্রাহকদের ভীড় বেড়েছে। দীর্ঘ সারিতে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতেও তেমন সচেতন নয় গ্রাহকরা। সংক্রমণ এড়াতে বেশি সংখ্যক শাখা খোলার দাবি গ্রাহকদের।
দেশে করোনা সংক্রমণের গতি বাড়া স্বত্বেও সড়কে যানবাহন ও জনগণের চলাচল বেড়ে যাওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।