রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম
- আপডেট সময় : ০৩:১২:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
- / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
রাজধানীর বাজারগুলোতে কমতে শুরু করেছে মুরগি ও পেঁয়াজের দাম। তবে কিছুটা বেড়েছে সবজি, মাছ ও ডিমের দাম।সপ্তাহের ব্যবধানে বেগুন, টমেটো, করলা, ঢেড়স, চিচিঙ্গা, ধুন্দল ও ঝিঙা-পটলের দাম কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। রসুন, আদা, চাল-ডাল ও তেলের বর্ধিত দাম অপরিবর্তিত থাকলেও আরো বেড়েছে মাছের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, করোনা ও ঈদের প্রভাবে বাজারে ক্রেতা কম থাকায় বাড়তি দামে বিক্রি করেও লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।
রাজধানীর বাজারগুলোতে একে তো করোনার প্রভাব, তার ওপর ঈদের ছুটির আমেজ না কাটায় ক্রেতা বেশ কম। এতে বেচাকেনা কম থাকায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম স্থিতিশীল থাকলেও খুচরা বাজারে এর কোন প্রভাব নেই।
সপ্তাহের ব্যবধানে সবজিতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি করলা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, উস্তা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, ঢেরস ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কচুরলতি ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, বেগুন ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা- ধুন্দল-ঝিঙা ৪৫ থেকে ৬০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ক্রেতা কম থাকায় কিছুটা বেড়েছে মাছের দামও। কেজিতে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে শিং আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৫০০ টাকা, পাবদা ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৪০০ থেকে ৭০০ টাকা, বাগদা ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা, রুই আকারভেদে ২৫০ থেকে ৩২০ টাকা, মৃগেল ২০০ থেকে ৩০০ টাকা, পাঙাস ১৩০ থেকে ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। আর এককেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা দামে।
রোজায় ডিমের দাম কম থাকলেও চড়া ছিল মুরগির বাজার। কয়েক দফা বাড়ে মুরগির দাম। তবে রমজান ও ঈদের পর পরই ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে; দাম কমছে মুরগির আর কিছুটা বাড়ছে ডিমের। অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।