রাজশাহীতে আলাদীনের নয় , আলো ছড়াচ্ছে দুর্নীতির চেরাগ
- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৫ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে আলাদীনের নয়, আলো ছড়াচ্ছে দুর্নীতির চেরাগ —এমন কথাই সবার মুখে মুখে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ ১৬টি মোড় ঝলমলে আলোয় ভরাতে সিটি কর্পোরেশন খরচ করেছে ৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অভিযোগ উঠেছে, বাজার মুল্যের চেয়ে ৫ কোটি টাকা অতিরিক্ত বিল করা হয়েছে এ কাজে। শর্ত পূরণ না করলেও টেন্ডারে অংশ নেয়া একমাত্র ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে দিয়েই করানো হয়েছে আলোকায়ন।
বিভিন্ন মোড় আলোকায়নের জন্য ১৬ মিটার উচ্চতার প্রতিটি হাই মাস্ট পোল বা খাম্বা কেনা হয়েছে সাড়ে ৩২ লাখ টাকা দরে। অভিযোগ উঠেছে, আমদানি খরচ ও ঠিকাদারের লাভসহ এ ধরনের খাম্বার বাজার মূল্য মাত্র ৫লাখ ৭২হাজার টাক। এতে প্রতিটি খাম্বায় অতিরিক্ত বিল ধরা হয়েছে ২৬ লাখ ৭৭ হাজার টাকা করে। এ আর ২০০ ওয়াটের প্রতিটি এলইডি লাইটের বাজার মুল্য ১৫ হাজার ৮৭৩ টাকা। টেণ্ডারের হিসেবে সাড়ে ৬৫ হাজার টাকা দরে ৩২০টি লাইট কেনা হয়েছে। একইভাবে প্রতিটি সহায়ক উপকরণেরই দাম ধরা হয়েছে ৪/৫ গুণ বেশি। গুরুত্বর এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দরপত্র আহ্বানকারী প্রকৌশলী।
খাম্বা ও লাইট কেনায় নজিরবিহীন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় এরইমধ্যে অনেকটা গোপনে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে তদন্ত শুরুর আগেই সাফাই গাইলেন কমিটির খোদ আহ্বায়ক।
এদিকে, ঠিকাদার বাছাইয়ে অনিয়ম ও কেনাকাটায় লাগামহীন বিলের পেছনে থাকা গডফাদারদের ধরতে না পারলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে মনে করেন সুশাসন বিশেষজ্ঞ ড. বদিউল আলম মজুমদার।
অভিযোগে জানা গেছে, টেণ্ডারের শর্তানুযায়ী ৫ বছরের মধ্যে এ ধরণের কাজের অভিজ্ঞতা নেই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান হ্যারো ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের। কিন্তু তদবিরের মাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানটিই কাজ পেয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে কয়েকদিন ধরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেন নি প্রতিষ্ঠানটির মালিক আশরাফুল হুদা।