রাজশাহীতে চলছে বেপরোয়া বিদ্যুত বিলের সুনামি। মিটার না দেখে রিডিং লিখে বিল দেয়া হচ্ছে কয়েকগুণ। বেপরোয়া এই বিলের প্রতিবাদে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। তাদের অভিযোগ, গ্রাহকদের ধোঁকা দিয়ে এভাবে বিপুল অর্থ লুটে নিচ্ছে নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড- নেসকো।
রাজশাহীর পবা উপজেলার এক গ্রাহকের চলতি বছরের জুলাই মাসে ৯,৮৬০টাকা ও আগস্টে বিদ্যুৎ বিল আসে মাত্র ২,৯৩৮টাকা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে চার লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও অক্টোবরে চার লাখ টাকা বিল ধরিয়ে দেয় নেসকো। নগরীর বেসরকারি এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মার্চে বিল ছিল পাঁচ হাজার টাকা। করোনায় প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ থাকলেও, এপ্রিলে বিল করা হয়েছে ৬৯হাজার টাকা। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
এমন বিলের রহস্য জানতে চেষ্টা করলে, নেসকোর প্রধান কার্যালয়ের প্রবেশপথেই বাধা দেয় নিরাপত্তাকর্মীরা। পরে, ঢোকার সুযোগ পেলেও মুখ খোলেননি কোনো কর্মকর্তা।
এদিকে, গ্রাহক হয়রানি ও ভুতুড়ে বিলের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছে রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ। মঙ্গলবার নেসকো কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে সংগঠনটি।
রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে নেসকোর আওতাধীন এলাকায় দৈনিক বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে সাত’শ মেগাওয়াট। উৎপাদনে ঘাটতি না থাকলেও, জরুরি মেরামত কাজের জন্য লোডশেডিং হয় নিয়মিত। এছাড়া, বিদ্যুতের দামও বেড়েছে বলে জানান, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নেসকো’র এক কর্মকর্তা।