রাজশাহীতে দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যা ঘটনার রহস্যের জট খোলেনি
- আপডেট সময় : ০৮:৫৪:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা কোন দিকে মোড় নেবে এমন প্রশ্ন এখনো ঘুরপাক খাচ্ছে। গেল কয়েক দিন ধরে মাঠে কাজ করছে একাধিক তদন্ত কমিটি। কিন্তু জট খোলেনি রহস্যের। মরদেহের ময়না তদন্ত হলেও ভিসেরা রিপোর্ট হাতে না পাওয়ায় মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হতে পারেনি ফরেনসিক বিভাগ।
গেল ২৩ মার্চ বিষপানে দুই সাঁওতাল কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনার পর নানা রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংস্থার লোকজনের উপস্থিতি উত্তাপ ছড়াচ্ছে গোদাগাড়ীর আদিবাসীপল্লী নিমঘটু। ধানক্ষেতে সেচ দিতে না পারার ক্ষোভে তারা বিষপান করেছিল, নাকি অন্য কোনো বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে- এমন প্রশ্নের উত্তরই খুঁজছেন সবাই।
২৪ মার্চ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের সামনেই বিষপানের কারণ সম্পর্কে এসএটিভিকে জানিয়েছিলেন, রবি মার্ডি। পরদিন রাতে মারা যান তিনি।
জোরালে অভিযোগ উঠেছে, গভীর নলকুপ থেকে বোরোর ক্ষেতে সেচের পানি না পেয়ে, ২৩ মার্চ বিকেলে রবি মার্ডি ও তার চাচাতো ভাই অভিনাথ মার্ডি বিষপান করেন। ওইদিনই মারা যান অভিনাথ। ওই গভীর নলকুপের অধীনে বোরো চাষ করা অন্য কৃষকরা বলছেন, পানির সংকট ছিল না।
বিষপানের পর প্রত্যক্ষদর্শীরাও জানিয়েছেন, ওইদিনের ঘটনা।
তবে মৃত অভিনাথের স্ত্রী দাবি করছেন, গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াত পানি না দেয়ায় বিষপান করেন তার স্বামী। আর রবি মার্ডির মা জানিয়েছেন, পানি সেচ দেয়া নিয়ে কোনো সমস্যার কথা জানা নেই।
গভীর নলকুপের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান বিএমডিএ জানিয়েছে, পানি সেচের জন্য নিজস্ব প্রি-পেইড কার্ডই ছিল না আত্মহননকারী দুই কৃষকের। বিকল্প উপায়ে পানি পেতেন তারা।
আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে গভীর নলকূপের অপারেটর সাখাওয়াতের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মামলার পর থেকেই পলাতক তিনি।