রাজশাহীতে রেলওয়ে হাসপাতালে চলছে সরকারি টাকা লুটের প্রতিযোগিতা
- আপডেট সময় : ০১:৪১:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ অগাস্ট ২০২০
- / ১৬১৭ বার পড়া হয়েছে
রাজশাহীতে রেলওয়ে হাসপাতালে চলছে সরকারি টাকা লুটের প্রতিযোগিতা। নিয়ম-কানুনের কোনো তোয়াক্কা করেন না এখনকার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। হাসপাতালে রীতিমতো দপ্তর সাজিয়ে কেরানীর কাজ করছেন সুইপারদের সর্দার। হাসপাতাল রোগীশুন্য থাকলেও নানাখাতে খরচ দেখিয়ে লোপাট হচ্ছে টাকা। অসাধু কর্মকর্তাদের অনিয়মের দৌড়ে যেন পিছিয়ে নেই কেউ কারো চেয়ে।
ডা. এস এম মারুফুল আলম, রাজশাহী রেলওয়ে হাসপাতালের বিভাগীয় মেডিকেল অফিসার। পদমর্যাদা অনুযায়ী সরকারি গাড়ী পান না তিনি। তবে দখলে নিয়েছেন হাসপাতালের সরকারি এই অ্যাম্বুলেন্সটি। নগরীর উপ শহরের বাসা থেকে শুধুমাত্র ডা. মারুফুলকে হাসপাতালে আনা-নেয়ার জন্যই দিনে অন্তত চারবার যাতায়াত করে অ্যাম্বুলেন্সটি। আর এই অ্যাম্বুলেন্সের পেছনে প্রতিমাসে কেবল জ্বালানি খরচই দেখানো হচ্ছে গড়ে ৩০ হাজার টাকা করে। ডা. মারুফুলের এমন কাণ্ড চলছে অন্তত বছর দুয়েক ধরে।
ডা.মারুফুলের অবৈধভাবে নিয়মিত অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহারের বিষয়টি ধরা পড়েছে এসএটিভির অনুসন্ধানেও। এছাড়া, তার অফিস কক্ষে নিয়েছেন এসি এবং ফ্রিজ। কিন্তু হাসপাতালের ফ্রিজটি ব্যবহার হয় না ওষুধ রাখার কাজে। তবে এসব অনিয়মের কথা অবশ্য স্বীকার করেছেন নিজেই। এদিকে রেলস্টেশনের সুইপার পদে নিয়োগ পাওয়া জুয়েল সরকার পদোন্নতি পেয়ে এখন জমাদার। তবে স্টেশনের কাজ ফেলে হাসপাতালের দু’তলায় চেয়ার টেবিল ও কম্পিউটারে বসে দিব্যি কাজ করছেন কেরানির। দাপ্তরিক সব কাজই হয় তার হাতে। অভিযোগ আছে, অফিস সহকারী পদে নিয়োগ পাওয়া এক নারীর বদলে কাজ করেন জমাদার জুয়েল। আর এ পদে নিয়োগপ্রাপ্ত নারী কেবল হাজিরাই দেন অফিসে।
এসব অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রকাশ্যে হলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এনিয়ে চীফ মেডিক্যাল অফিসার ডা. শামীম আরার মুখোমুখি হলে তিনি দিতে পারেন নি কোনো যৌক্তিক ব্যাখ্যাও। এই হাসপাতালে কেবল রেলওয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পোষ্যরাই চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কথা।