১২:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪

রাজশাহী সিটি মেয়র লিটনের ‘আয়েশী প্রকল্পগুলো’ ছেটে ফেলা হচ্ছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • / ২০৬৯ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী আমলে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ‘আয়েশী প্রকল্পগুলো’ ছেটে ফেলা হচ্ছে। সরকারী টাকায় নিজের বাবার সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণের মতো প্রকল্পও হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পর্যালোচনা কমিটি প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার এ ধরনের তিনটি প্রকল্প জনগুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ করে সেগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মহানগরীর কাদিরগঞ্জে বাবা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেন রাজশাহী সিটির তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ প্রকল্পটি অনুমোদন সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সমাধি সৌধ, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরী, আলোকায়ন, সীমানা প্রাচীর, প্রবেশ গেইট এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কেবল লিটনের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর লিটন ক্ষমতাচ্যূত হলে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি জানান, লিটনের প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ না হওয়ায় ওই কমিটির সুপারিশে সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প এবং আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। ডিপিপি থেকে ছেটে ফেলা হচ্ছে স্যাটেলাইট টাউন প্রকল্পও।

কেবল এরকম খেয়াল-খুশি মতো শত শত কোটি টাকার প্রকল্পই নয়, আড়াই হাজারেরও বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দিয়ে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন লিটন। এসব নেতাকর্মী অফিসে হাজির না থেকে মজুরি তুলেছেন মাসের পর মাস। এই দুষ্টচক্রকেও কর্পোরেশন থেকে ছেটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। (ফুটেজ-৩)

এদিকে, জুলাই বিপ্লবের সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে রক্ষায় রাজপথে মরিয়া ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের বেশির ভাগ কাউন্সিলর। শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামী তারা। এদের আর কর্পোরেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও জানান প্রশাসক। গেল ৫ আগস্ট নগর ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রাজশাহী সিটি মেয়র লিটনের ‘আয়েশী প্রকল্পগুলো’ ছেটে ফেলা হচ্ছে

আপডেট সময় : ১০:৫১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আওয়ামী আমলে রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের ‘আয়েশী প্রকল্পগুলো’ ছেটে ফেলা হচ্ছে। সরকারী টাকায় নিজের বাবার সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণের মতো প্রকল্পও হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তবে এখন সিটি কর্পোরেশনের প্রকল্প পর্যালোচনা কমিটি প্রায় দেড়শ’ কোটি টাকার এ ধরনের তিনটি প্রকল্প জনগুরুত্বপূর্ণ নয় উল্লেখ করে সেগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মহানগরীর কাদিরগঞ্জে বাবা এএইচএম কামারুজ্জামানের সমাধিসৌধ নির্মাণে প্রকল্প হাতে নেন রাজশাহী সিটির তৎকালীন মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। ২০২৩ সালের ১৬ মার্চ প্রকল্পটি অনুমোদন সংক্রান্ত সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় সমাধি সৌধ, প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরী, আলোকায়ন, সীমানা প্রাচীর, প্রবেশ গেইট এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণের জন্য খরচ ধরা হয়েছিল ২৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। কেবল লিটনের ব্যক্তিগত ইচ্ছায় প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল সিটি কর্পোরেশন।

তবে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর লিটন ক্ষমতাচ্যূত হলে সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন বিভাগীয় কমিশনার। তিনি জানান, লিটনের প্রকল্পগুলো পর্যালোচনার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। জনগুরুত্বপূর্ণ না হওয়ায় ওই কমিটির সুপারিশে সমাধি কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্প এবং আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে। ডিপিপি থেকে ছেটে ফেলা হচ্ছে স্যাটেলাইট টাউন প্রকল্পও।

কেবল এরকম খেয়াল-খুশি মতো শত শত কোটি টাকার প্রকল্পই নয়, আড়াই হাজারেরও বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে সিটি কর্পোরেশনে চাকরি দিয়ে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন লিটন। এসব নেতাকর্মী অফিসে হাজির না থেকে মজুরি তুলেছেন মাসের পর মাস। এই দুষ্টচক্রকেও কর্পোরেশন থেকে ছেটে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। (ফুটেজ-৩)

এদিকে, জুলাই বিপ্লবের সময় স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারকে রক্ষায় রাজপথে মরিয়া ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের বেশির ভাগ কাউন্সিলর। শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন মামলায় আসামী তারা। এদের আর কর্পোরেশনে প্রবেশ করতে দেয়া হবে না বলেও জানান প্রশাসক। গেল ৫ আগস্ট নগর ভবনে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা করেছে কর্তৃপক্ষ। মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।