রাজস্ব আদায়ে এবারো বড় ধরনের ঘাটতির আশংকা
- আপডেট সময় : ০৫:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ মার্চ ২০২২
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
করোনার ফলে গেল দুই বছরের মতো এবারো রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের ঘাটতির আশংকা করছেন সংশ্লিষ্টরা। কারণ চলতি অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসে লক্ষ্যমাত্রার এক তৃতীয়াংশও অর্জিত হয়নি এখনো। এই বাস্তবতায় রাজস্ব আদায় বাড়াতে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের পরামর্শ দিয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন খাতে ভ্যাট, ট্যাক্স আর মাশুল বাড়াচ্ছে এনবিআর। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা।
গেল অর্থবছরে এনবিআরের পক্ষ থেকে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। পরবর্তিতে তা সংশোধন করে ৩ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করে প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু বছর শেষে আদায় হয় মাত্র ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।
এই নেতিবাচক প্রবণতায় চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৩ লাখ ৮৯ হাজার কোটি টাকা। প্রথম ৮ মাসে আদায় হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। শতাংশের হিসেবে যা মাত্র ৩৫ শতাংশের কিছু বেশী। অর্থনীতিবিদদের দাবি, সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় রাজস্ব আদায় বাধাগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে জাতীয় অর্থনীতিতে।
বিজিএমইএ নেতাদের অভিযোগ, করোনা পরবর্তি বছর ব্যবসায়ীদের জন্য ঘুরে দাড়ানোর সময়। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দিন দিন বেপোরোয়া হয়ে উঠছে এনবিআর।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই বলছে, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি করতে হলে ট্যাক্সনেটের আওতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি কাস্টমসের মতো প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ তাদের।
রাজস্ব আয় বাড়াতে কর দেয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার পাশাপাশি করদাতার সংখ্যা শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তৃত করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।