রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় বন্দর উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দর
- আপডেট সময় : ০২:৩২:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৬৬ বার পড়া হয়েছে
রাজস্ব আয়ের বিপুল সম্ভাবনাময় বন্দর উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সোনাহাট স্থল বন্দর। এই বন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ করা হলেও শুধু ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় বাড়ছে না আমদানী-রপ্তানী। বাধাগ্রস্থ হয়ে পড়ছে বন্দর কেন্দ্রীক দু’দেশের ব্যবসায়ীক সম্পর্ক। পাশাপাশি সোনাহাট সেতু ও সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত সম্পন্ন না হওয়ায় অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে বন্দরের কার্যক্রম।
ভারতের আসাম, মেঘালয়সহ সেভেন সিষ্টার খ্যাত রাজ্যগুলোর সাথে পণ্য আমদানী ও রপ্তানীর জন্য ২০১৩ সালের ৪ সেপ্টেম্বর চালু হয় দেশের ১৮তম সোনাহাট স্থল বন্দর। এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০টি পণ্য আমদানী ও বাংলাদেশ থেকে নিষিদ্ধ ছাড়া সকল পণ্য রপ্তানীর জন্য তৈরী করা হয়েছে বন্দরের অবকাঠামো। বন্দর চালুর দীর্ঘ সময় পাড় হলেও এ পর্যন্ত কয়লা ও পাথর আমদানী এবং রপ্তানী হচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য। এতেই প্রতি বছর আয় হচ্ছে প্রায় ১০ কোটি টাকা। এদিকে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ ইমিগ্রেশন চালু না থাকায় ব্যবসায়ীক সম্পর্ক ব্যহত হওয়ার পাশাপাশি বাড়ছে না আমদানী-রপ্তানীর পরিমাণ।
বন্দরে কাজ করেন প্রায় সহস্রাধিক শ্রমিক। পণ্যের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে কাজের পরিধিও বৃদ্ধির আশা তাদের। বন্দরকে ঘিরে জেলার অর্থনৈতিক উন্নয়নের সম্ভাবনা তৈরীতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবার দাবী স্থানীয় সুধীজনের।
কয়লা ও পাথর ছাড়া অন্যান্য উদ্ভিদজাত পণ্য আমদানীর সুযোগ থাকলেও আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় আমদানীর সংখ্যা বাড়াতে পারছে না আমদানীকারকরা। ইমিগ্রেশন চালু ও সড়ক যোগাযোগ দ্রুত উন্নয়নের মাধ্যমে বন্দরের রাজস্ব আরও বৃদ্ধির আশা এই কর্মকর্তার।
ইমিগ্রেশন চালুসহ সকল সমস্যা সমাধান করা গেলে, সেভেন সিষ্টার ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ভুটানের সাথেও ব্যবসায়িক সম্পর্ক তৈরী হবে এ বন্দরের। এতে করে রাজস্ব আরও বাড়বে বলে মনে করেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।