রাজাকারের তালিকা প্রণয়নে নতুন আইন হচ্ছে
- আপডেট সময় : ০৭:০০:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২০
- / ১৫৩৭ বার পড়া হয়েছে
করোনার বিস্তার ঠেকাতে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য সচেতনতা বাড়াতে স্থানীয় সরকারের সব প্রতিষ্ঠান ও আওয়ামী লীগের দলীয় নেতা-কর্মীদেরকেও সক্রিয় হতে বলেছেন। সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। একই বৈঠকে রাজাকারদের তালিকা তৈরির বিধান রেখে বিজয়ের মাসে ‘জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার সদস্য ও সংশ্লিষ্ট সচিবদের নিয়ে বসে মন্ত্রিপরিষদ বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গণভবন থেকে অনলাইনে এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হয়, দেশের ৬৩টি জেলায়, ৩৮০ টি উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ও ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়েছে জানিয়ে হাইকোর্টে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনার বিস্তার ঠেকাতে তৃণমূল পর্যায়ে মাস্ক পরা বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করতে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠন এবং স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধিদেরকে কাজ করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইনের খসড়া করেছে। এ আইন পাস হলে আগের আইন বাতিল হয়ে যাবে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্য হিসেবে মানবতা ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল, তাদের একটা তালিকা প্রণয়ন ও গেজেট প্রকাশের জন্য সরকারের কাছে সুপারিশ রেখে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন-২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে গেজেটভুক্ত ও সনদপ্রাপ্ত অমুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ারও সুপারিশ করবে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল।