উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করে রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজটি দখলে নিয়েছে একটি মহল
- আপডেট সময় : ০৮:২৭:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২২
- / ১৭৭৩ বার পড়া হয়েছে
একসময়ের জমজমাট রাজেন্দ্র ইকো রিসোর্ট এন্ড ভিলেজ প্রভাবশালী মহলের দৌরাত্ম্যে এখন জনমানব শূন্য। প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য্যের মাঝে প্রায় ৫০ বিঘা জমির ওপর ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করে এ রিসোর্টটি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ক্ষমতাসীনদের ছত্রছায়ায় একটি মহল মূল উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানকে উচ্ছেদ করে রিসোর্টটি দখলে নিয়েছে। সরকার এবং প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।
২০০৮ সালে স্থানীয়দের কাছ থেকে ৫০বিগা জামি কিনে রাজেন্দ্র ইকো রির্সোট এন্ড ভিলেজ গড়ে তোলেন সাবেক সেনাকর্মকর্তা মেজর কবির আহমেদ মাহমুদী।প্রকৃতির মাঝে অবস্থিত রির্সোটটিতে রয়েছে সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, রেস্তোরাঁসহ আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা ।
সম্পূর্ণ বিশ্বমানের টুরিস্ট স্পট রাজেন্দ্র ইকো রির্সোটটি-ইয়েস মালটিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি নামে নিবন্ধন পায়।
নির্মাণাধীন অবস্থায়-ই ১৮ জনের কাছে প্লট বিক্রি করে উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান ইয়েস মাল্টি পারপাস। কিন্তু সমোঝোতা চুক্তির তোয়াক্কা না করে দখলের কারসাজি ও অবৈধভাবে আবাসিক ব্যবসা শুরু করে রির্সোটিতে কয়েকজন প্লট ক্রেতা ।
কেন অবৈধভাবে আবাসিক ব্যবসা শুরু করা হলো সে বিষয়ে জানতে প্লট ক্রেতাদের বারবার আইনী-নোটিস দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি উদ্যোক্তারা । বাধ্য হয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করে তারা। পরে অবৈধভাবে সেসব প্লট মালিকদের আবাসিক ব্যবসা বন্ধের নির্দেশ জারি করে জেলা প্রশাসন।
অভিযোগ রয়েছে কোনো এক অদৃশ্য শাক্তির কারনে ইয়েস মালটিপারপাস কো-পারেটিভ সোসাইটির নিবন্ধন থাকার পরও প্রভাব খাটিয়ে ২০২০ সালে এসে নতুন নিবন্ধন পায় অবৈধভাবে দখলে থাকা ক্রেতারা। বের করে দেয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির মূল মালিককে।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্লট ক্রেতারদর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও ক্যামেরায় কথা বলতে রাজি হননি তারা ।