রানা প্লাজা ট্র্যাজেডি : ৬শ’ সাক্ষীর মধ্যে ৯ বছরে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে মাত্র ১ জনের
- আপডেট সময় : ০৩:০৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ এপ্রিল ২০২২
- / ১৫৩৮ বার পড়া হয়েছে
নয় বছরে প্রায় ৬শ’ সাক্ষীর মধ্যে সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে মাত্র ১ জনের। কবে শেষ হবে বিচার? আর কবেই বা পাওয়া যাবে ন্যায় বিচার তা জানে না ভুক্তভোগীরা। তবে মামলার এই দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে পরস্পরকে দুষছে রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে ঝুলে ছিল মামলা। পাল্টা যুক্তি দিয়ে আসামি পক্ষ জানায়, অযথা আসামি ও সাক্ষীর সংখ্যা বাড়ানোয় বিলম্বিত হচ্ছে বিচারকাজ।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল, বিশ্ব-ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ সে শিল্প-দুর্ঘটনা ঘটে ঢাকা জেলার সাভারে। ধসে পড়ে বহুতল ভবন রানা প্লাজা। নির্মম ওই দুর্ঘটনায় মারা যায় এক হাজার ১৩৫ পোশাক শ্রমিক। পঙ্গুত্ব বরণ করে আরও হাজারখানেক।
রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় মোট ৩টি মামলা হয়। এছাড়া, অবহেলা ও ত্রুটিজনিত হত্যা এবং ইমারত নির্মাণ আইনে হয় দুটি মামলা।
অনুসন্ধান শেষে ২০১৫ সালে ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ৪১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেয়া হয়। তবে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর পররই উচ্চ আদালতের দেয়া স্থগিতাদেশে ৫ বছরের জন্য বন্ধ থাকে বিচারকাজ। ফলে, মামলার ৫৯৪ সাক্ষীর মধ্যে এ পর্যন্ত সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে মাত্র একজনের।
এ মামলার ৪১ আসামির মধ্যে ২ জন মারা গেছেন। শুধু ভবন মালিক সোহেল রানা ছাড়া বাকিরা জামিনে রয়েছেন। আসামিপক্ষের দাবি, বেশি মানুষকে আসামি এবং শত শত মানুষকে সাক্ষী করার কারণে দীর্ঘায়িত হয়েছে মামলা।
দুর্নীতির মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাকে এরই মধ্যে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে বিচারিক আদালত।