রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠায়নি সাউথ আফ্রিকা: প্রেসিডেন্ট
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
- / ১৬০৫ বার পড়া হয়েছে
অ্যামেরিকার অভিযোগ নস্যাৎ করে দিলেন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট। দেখালেন স্বাধীন তদন্ত কমিটির রিপোর্ট।
গত মে মাসে সাউথ আফ্রিকায় অবস্থিত অ্যামেরিকার রাষ্ট্রদূত অভিযোগ করেছিলেন, গত বছর ডিসেম্বর মাসেসাউথ আফ্রিকা থেকে জাহাজে করে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র রাশিয়াতে গেছে। সাউথ আফ্রিকার নৌবাহিনীর বেস থেকে ওই অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ।
অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পর সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেন। তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বলা হয়। সম্প্রতি সেই কমিটি তাদের রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট তার মতামত জানিয়েছেন। গোটা রিপোর্টটি অবশ্য প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে নিয়ে তৈরি ওই তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, অ্যামেরিকার অভিযোগ ভিত্তিহীন। অ্যামেরিকার অভিযোগ ছিল, রাশিয়ার জাহাজ লেডি আর কেপ টাউনের কাছে সাউথ আফ্রিকার নৌঘাঁটির বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল। সেখানে ওই জাহাজে অস্ত্র ভরা হয়। এরপর সেই জাহাজ রাশিয়ায় পাড়ি দেয়।
তদন্ত কমিটি জানিয়েছে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। যে নৌঘাঁটির কথা বলা হচ্ছে, সেখানে তদন্ত কমিটি গিয়ে সমস্ত নথি পরীক্ষা করে দেখেছে। কিন্তু অস্ত্র পাচারের কোনো কাগজ সেখানে পাওয়া যায়নি।
সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, অ্যামেরিকার ‘ভিত্তিহীন’ অভিযোগ সাউথ আফ্রিকাকে অত্যন্ত বিড়ম্বনার মধ্যে ফেলেছে। জাতিসংঘে ইউক্রেন যুদ্ধ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তে আরো বেশ কিছু অন্য দেশের মতো সাউথ আফ্রিকাও ভোট দেয়নি। তারা ভোট থেকে বিরত থেকেছে। ফলে তারা রাশিয়াকে অস্ত্র পাঠিয়েছে, এই অভিযোগ ভূরাজনৈতিক দিক থেকে সাউথ আফ্রিকাকে কোণঠাসা করে দিতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। সে কারণেই তদন্ত কমিটির রিপোর্টকে এত গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে দ্রুত তাই খবরটি পৌঁছেও দেয়া হয়েছে।
তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ২০১৮ সালে ওই নৌঘাঁটি থেকে একটি জাহাজে অস্ত্র তোলা হয়েছিল। কিন্তু সেই অস্ত্র কোথায় কাদের কাছে গেছিল তা বলতে অস্বীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট। জানিয়েছেন, ওই অস্ত্র নিজের দেশের সেনার কাছেই গেছিল। কিন্তু কাদের কাছে কোন অস্ত্র কত পরিমাণে গেছিল, তা তিনি জানাবেন না। কারণ, তাতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, ওই অস্ত্র দেশের এলিট ফোর্সের কাছে গেছিল। মোজাম্বিকে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য ওই অস্ত্র পাঠানো হয়েছিল।
ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ