রুয়েটে ভিসির পদে ১২ অধ্যাপকের দৌঁড়ঝাপ
- আপডেট সময় : ০৫:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ১৬৯৮ বার পড়া হয়েছে
রাজনৈতিক চাটুকারিতায় পটু অধ্যাপকরাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য পদে নিয়োগ পাচ্ছেন। তারা পদ দখল করে মেতে ওঠেন নিয়োগ ও টেন্ডার বাণিজ্যে। বিশিষ্টজনরা বলছেন, স্বায়ত্ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানেও এমন লেজুড়বৃত্তির কারণে সৎ ও আদর্শবান শিক্ষকরা এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ পদে আগ্রহ হারাচ্ছেন।
মাত্র দেড় মাস আগে খালি হয়েছে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়-রুয়েটে উপাচার্যের পদ। ওই পদে অধিষ্ঠিত হতে চান মেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক নীরেন্দ্রনাথ মুস্তফী।(ডিও লেটার, সাধন চন্দ্র মজুমদার, ফজলে হোসেন বাদশা, সলিম উদ্দিন তরফদারে ছবি)
এজন্য বাগিয়েছেন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের ডিও লেটার। তিনটি ডিও লেটারের ভাষাও হুবহু এক। এসএটিভির হাতে আসা ওই তিন চিঠিতে দেখা যায়, ড. মুস্তফীর রাজনৈতিক পরিচয়ের ফিরিস্তি তুলে ধরে তাকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দিতে শিক্ষামন্ত্রীকে সুপারিশ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ি কমিটির সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এমপি ও নওগাঁর এমপি সলিম উদ্দিন তরফদার।
চিঠিতে তারা এও লিখেছেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবেন ড. মুস্তফী। রুয়েটের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেতে তার মতো প্রায় ডজনখানেক অধ্যাপক এখন তদবিরে মত্ত। এই দৌঁড়ে আছেন সাবেক দুই উপাচার্যও।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা ভয়াবহ দুর্নীতি করছেন উল্লেখ করে ডিও লেটার দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন ফজলে হোসেন বাদশা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদেশেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দলবাজ উপাচার্যরা কতিপয় রাজনীতিবিদের সাথে মিলেমিশে দুর্নীতি করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার পথ সংকুচিত করছেন।
তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে, তা অনুসরণ করা হলে এই সংকট থাকবে না বলে মনে করেন এই শিক্ষাবিদ।
একইভাবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেতেও রাজনৈতিক তদবির পেতে দৌঁড়াঝাপ করছেন আরো এক ডজন অধ্যাপক।