রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৪২ একর জমি এখনো অবৈধ দখলে
- আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ অক্টোবর ২০২১
- / ১৬৬৬ বার পড়া হয়েছে
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৪২ একর জমি এখনো অবৈধ দখলে। ভুমিদস্যু ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের পাশাপাশি রেলের কর্মকর্তা কর্মচারীদের অপকৌশলের কারণেই বিপুল পরিমান রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি বছরের পর বছর হাতছাড়া হয়ে আছে। বিশ্লেষকদের দাবি, কর্মকর্তা কর্মচারিদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট এসব দখলবাজির সঙ্গে জড়িত।এ কারণে মাঝে মধ্যে লোক দেখানো উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। কিন্তু এতে কোন সুফল আসে না। আর রেলওয়ের ভু-সম্পত্তি বিভাগ বলছে, কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ থাকলেও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ না থাকায় ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
চট্টগ্রাম নগরীর আমবাগান রেলওয়ে কলোনীর চিত্র এটি। খাতা কলমে ২০ টি দোতলা ভবনে ৪০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী বাস এই কলোনীতে। কিন্তু বর্তমানে কলোনীটিতে অন্তত দেড় হাজার পরিবারের বাস। কারণ প্রতিটি ভবনের চৌহদ্দিতে ২০ থেকে ৩০ টি করে সেমি পাকা ও টিনসেড ঘরের অস্তিত্ব আছে। এছাড়া কলোনীর খেলার মাঠ, বাগানসহ উন্মুক্ত এলাকাগুলোর পুরোটা মিলে গড়ে উঠেছে বিশাল এক বস্তি। যেখানে প্রতিটি ঘরে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায় ভাড়া থাকেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এর একটি ভবনের সীমানায় ঢুকতেই তেড়ে এলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংস্থাপন বিভাগের কর্মচারী মামুন সরকার।
আমবাগান ছাড়াও পাহাড়তলী, আকবর শাহ, মতিঝর্ণা, খুলশিসহ সবকটি রেলওয়ে কলোনীর চিত্র একই। এছাড়া রেললাইনের পাশ থেকে শুরু করে শহরের মধ্যে রেলের জমির অধিকাংশই অবৈধ দখলে রয়েছে বছরের পর বছর। এই দখল বাণিজ্যে রাজনৈতিক নেতা, চিহ্নিত ভুমিদুস্যু, প্রভাবশালী মহলের সঙ্গে খোদ রেলের কর্মকর্তারা মিলেই গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
ভূসম্পত্তি বিভাগের হিসেবে, মোট ৭ হাজার ৭০১ একজর জমির মালিক রেলওয়ে পুর্বাঞ্চল। যার মধ্যে অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে ৪ হাজার ৯৩৬ একর জমি। বাকি বিপুল পরিমান অব্যবহৃত সম্পত্তি দেখভালে জনবল নেই বলে দায় এড়াতে চাইলেন প্রধান ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের হিসেবে তাদের ৪৪২ একর বেদখল হওয়া জমির মধ্যে ১৮০ একর চট্টগ্রামে আর ২৬২ একর ঢাকায়। যদিও বাস্তবে বেদখল হওয়া সম্পত্তির পরিমাণ আরো অনেক বেশি।