রেলের জমি দখল করে কোটিপতি ঠিকাদার শাহ আলম
- আপডেট সময় : ০৬:৪৯:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুলাই ২০২৪
- / ১৯৫৬ বার পড়া হয়েছে
রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের অঘোষিত মালিক বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলম। রেলের জমিতে মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল, বাগানবাড়িসহ ছোটবড় বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে তুলেছেন অদৃশ্য ক্ষমতাবলে। ট্রেন পরিচালনা থেকে শুরু করে আউটসোর্সিংয়ের নামে জনবল সরবরাহ, যন্ত্রাংশ সরবরাহ, স্ক্র্যাপ ক্রয়, অবকাঠামো নির্মাণ কিংবা সংস্কার সবই তার দখলে। এসব নিয়ে শাহ আলমের বক্তব্য পাওয়া না গেলেও তার পক্ষে অবস্থান নেন রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের জি এম নাজমুল ইসলাম। এমন ঘটনাকে নজিরবিহীন বলছেন বিশ্লেষকরা।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের পেছনে আইস ফ্যাক্টরী রোডের বিশাল এই মার্কেটটির মালিক বিতর্কিত ঠিকাদার শাহ আলম। বছর সাতেক আগে রেলওয়ের কাছ থেকে একসনা বন্দোবস্ত নিয়ে মার্কেট গড়লেও দোকানদারদের সঙ্গে করেছেন দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি। অভিযোগ রয়েছে জমিটির বরাদ্দপত্রেও রয়েছে জালজালিয়াতি। চট্টগ্রামের ঐতিহ্যের সাক্ষী পুরনো রেল স্টেশনের নান্দনিক এই ভবনটি স্ত্রীর প্রতিষ্ঠানের নামে নামমাত্র টাকায় লিজ নিয়ে গড়ে তুলেছেন হেরিটেজ বিআর নামের একটি থ্রি-স্টার হোটেল। বিশাল পার্কিংসহ স্টেশনের অন্যান্য অবকাঠামো ব্যবহার করছেন ফ্রি। নতুন রেল স্টেশনের দ্বিতীয় তলায় ওশানওয়ে নামের হোটেল ও রেস্টুরেন্টর মালিকও তিনি। স্টেশনের সামনের বিশাল পার্কিংজোনও গেল ৫ বছর ধরে টেন্ডার ছাড়ায় নিয়ন্ত্রন করছেন শাহ আলম। চট্টগ্রাম জুড়ে রেলের জমিতে এমন শতাধিক স্থাপনা খুঁজে পাওয়া যাবে শাহ আলমের। শুরুতে নামমাত্র টাকায় লিজ নিয়ে স্থাপনা গড়ার পর চুক্তি অনুযায়ী লিজের টাকাও পরিশোধ করেন না তিনি। কথিত আছে রেলের যত সম্পদ আছে সবটা তার। কারন রেলওয়ে পুর্বাঞ্চলের সব কর্মকর্তাদের নিয়োগ বদলি পদন্নতি সবকিছুই হয় তার ইশারায়। বিষয়টি নিয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার শাহ আলমের অফিসে গেলেও এসএ টিভির সঙ্গে দেখা করেননি তিনি। কারণ খোদ রেলের জিএমই আছেন তার পক্ষে সাফাই গাইতে। নগরীর সিআরবি ষিরিশতলায় ক’দিন আগে সাধারণ মানুষের আন্দোলনের মুখে রেলের জমিতে পিপিপি পদ্ধতিতে হাসপাতাল নির্মাণ প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে বাধ্য হয় সরকার। কিন্তু সেই একই স্থানে শাহআলমের স্ত্রীর নামে বিশাল এই রেস্টুরেন্টটি গড়ে উঠেছে বিনাবাধায়।