রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
- আপডেট সময় : ০৩:২৬:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ ফেব্রুয়ারী ২০২০
- / ১৫৫৫ বার পড়া হয়েছে
রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নিজস্ব ভবনই শুধু নয়, পরিচিতও পেয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার বঙ্গবন্ধু প্রবর্তিত পররাষ্ট্রনীতি- ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’-অনুসরণ করে চলেছে। পরে ইতালীর প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে, দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন শেখ হাসিনা। বিস্তারিত জানাচ্ছেন ফারজানা শোভা।
ইতালীর স্থানীয় সময় বুধবার সকালে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের নতুন চ্যান্সেরি ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আনুষ্ঠানিকভাবে ইতালির রাজধানীর ভিয়া ডেল’ অ্যান্ট্রাটাইড এলাকায় ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ২৩ দশমিক ৯ কাঠা জমির উপর নির্মিত পাঁচ তলা চ্যান্সেরি ভবনটিতে দুতাবাসের কাজ শুরু হল। এ সময় দেশ ও জাতির অব্যাহত শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ছোট কণ্যা শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল ফলক উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। পরে, প্রধানমন্ত্রী চ্যান্সেরি ভবনের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন।
দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাঁর সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর যেসব দেশে বেশি বাংলাদেশী বসবাস করছে, সেসব দেশে নিজস্ব চ্যান্সেরি ভবন এবং দূতাবাস নির্মাণের পদক্ষেপ নিয়েছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দূতাবাস বিদেশের মাটিতে একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক বিকাশে অনেক বেশি অবদান রাখা সম্ভব।পরে, দূতাবাস প্রাঙ্গণে স্থাপন করা শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে, ভাষা আন্দোলনের শহীদদেরকে শ্রদ্ধা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এরপর তিনি চ্যান্সেরি ভবনের অভ্যন্তরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।বিকেলে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তাঁর সরকারি বাসভবন পালাযো চিগিতে পৌঁছালে রাজকীয় গার্ড অব প্রধান করা হয়।পরে বৈঠকে বসেন দু’দেশের সরকার প্রধান। আলোচনায় উঠে আসে, দুদেশের মধ্যকার বাণিজ্য, রোহিঙ্গা সংকটসহ নানা বিষয়।