লকডাউনে আমদানি কমার অজুহাতে এবার বাজারগুলোতে আরেকদফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম

- আপডেট সময় : ০৭:১৩:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা নতুন নয়। তবে লকডাউনে আমদানি কমার অজুহাতে এবার রাজধানীর বাজারগুলোতে আরেকদফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। বেগুন ও শসার কেজি ১শ’ টাকা ছাড়িয়েছে। বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজিও। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। এদিকে বাড়তির তালিকায় রয়েছে তেল, চিনি, ডালসহ অতি প্রয়োজনীয় সকল প্রকার নিত্যপণ্য। বাজার নিয়ন্ত্রণে মনিটরিং বাড়ানোর দাবি ক্রেতাদের।
সর্বাত্মক লকডাউনের তৃতীয় দিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের চিত্র এটি। লোকসমাগম আগের মতই। বেচাবিক্রি চলছে ধীর গতিতেই। তবে হঠাৎ করেই উত্তাপ ছড়িয়েছে কাঁচাবাজারে। বাড়তি প্রায় সব ধরনের সবজির দাম। প্রথম রোজায় বেগুনের কেজি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হতো , দাম বেড়ে তা বিক্রি হচ্ছে ৮০ ধেকে ১০০ টাকায় । ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানি কম তাই বেড়েছে দাম।
রোজা ও ঈদ সামনে রেখে বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার ঘটনা নতুন কোনো প্রবণতা নয়। প্রতিবছরই পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলা হলেও তার সুফল পান না ক্রেতারা। এ বছরও নিত্য পণ্যের দাম বেঁধে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। এর পরেও সরকার নির্ধারিত দামেই বিক্রি হচ্ছে না তেল, চিনি, মসলাসহ বেশ কিছু নিত্য পণ্য। প্রতিটি পণ্যেরই দাম ২ থেকে ৫ টাকা বাড়তি। বাজারে মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম নিয়ে রয়েছে ক্রেতা-বিক্রতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া। ব্রয়লার মুরগীর দাম কমেছে ১০ টাকা, এছাড়া সবধরনের মুরগীর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা। গরুর মাংস বাজারভেদে প্রতিকেজি ৫৮০ থেকে ৬০০টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯’শ টাকা পর্যন্ত। তবে ক্রেতা কম বলে জানান বিক্রেতারা। বাজারের এমন পরিস্থিতিতে নাভিশ্বাস সাধারণ ক্রেতাদের। বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারের সক্রিয় পদক্ষেপ চান তারা।