লকডাউনে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরী পোষাক শিল্প
- আপডেট সময় : ০২:৩৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
করোনার বাংলাদেশের তৈরী পোশাক শিল্পে দ্বিতীয় আঘাতের শঙ্কা ঘিরে ধরেছে এ খাতের উদ্যোক্তাদের। তাদের দাবি, এবার কারখানা বন্ধ রাখতে হলে আর সহসায় ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না এই শিল্পটি। আর বিজিএমইএ বলছে, রপ্তানীমুখি দেশগুলোতে করোনার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় অর্ডার বেড়েছে অনেক। লকডাউনের আওতামুক্ত রাখা না গেলে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরী পোষাক শিল্প।
গেল বছরের মার্চে করোনার শুরুতে সাধারণ ছুটির কারণে টানা এক মাস বন্ধ ছিলো বাংলাদেশের তৈরী পোষাক শিল্প। একই সময় রপ্তানীমুখি দেশগুলোতেও ছিলো লকডাউন।এতে বিপুল পরিমান অর্ডার বাতিল ও স্থগীত করেছিলো বিদেশী বায়াররা। তবে নভেম্বর থেকে বদলাতে থাকে পরিস্থিতি। রপ্তানীমুখি দেশগুলোর অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় অর্ডার বাড়তে থাকে বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে যেসব গার্মেন্টস মাত্র ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ সক্ষমতা নিয়ে চলছিলো এখন সেই কারখানাগুলো সক্ষমতার ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছে।
গার্মেন্টস মালিকরা বলছেন, করোনার প্রথম সংক্রমণের সময় সাধারণ ছুটির পর থেকেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কারখানা চালাতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন তারা। যে ধারাবাহিকতা এখনো চলছে। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে আরো বিধি নিষেধ বা শর্ত দিয়ে হলেও তৈরী পোষাক খাতকে লকডাউনের আওতামুক্ত রাখার দাবি তাদের।
তৈরী পোষাকের বিশ্ববাজরে বাংলাদেশের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা ও ভারত। কোথাও লকডাউন না থাকায় আরো চিন্তায় ফেলেছে উদ্যোক্তাদের। কারণ বায়াররা যদি একবার অন্য দেশে চলে যায় তবে তাদের ফেরানো কঠিন হবে বলে মনে করেন বিজিএমইএর সাবেক ও বর্তমান এই দুই নেতা।
করোনার প্রথম ধাক্কা সামলাতে না পেরে কয়েকশো গার্মেন্টস বন্ধ হয়ে গেলেও বিজিএমইএর সদস্যভুক্ত প্রায় ২ হাজার গার্মেন্টস এখনো চালু রয়েছে। এতে কর্মরত রয়েছে কয়েক লাখ কর্মকর্তা কর্মচারী। সংগঠনটির হিসেবে গেল এক বছরে শ্রমীক কর্মচারীদের মধ্যে ১ শতাংশ ও কর্মকর্তাদের মধ্যে ৩ শতাংশ আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। যা অন্যান্য খাত থেকে অনেক কম।