লাখো কোটি টাকার বাহারী বাজেট হয় প্রতি অর্থবছরের শুরুতে
- আপডেট সময় : ০৭:৪৭:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ জুলাই ২০২১
- / ১৫২৬ বার পড়া হয়েছে
লাখো কোটি টাকার বাহারী বাজেট হয় প্রতি অর্থবছরের শুরুতে। মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে নানান প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরিও থাকে। কিন্তু বছরশেষে তার কতটুকু কিভাবে বাস্তবায়ন হয় তা নিয়ে কারো নজর থাকে না। আর তাই প্রস্তাবিত, সংশোধিত আর অর্জিত বাজেটের ফারাকটুকু সামনে আসেনা কখনো। গেল ১০ বছরের এক পরিসংখ্যন বলছে, বাজেট পাশের ৭/৮ মাসের মাথায়ই কমিয়ে ফেলা হয় প্রস্তাবিত বাজেটের অন্তত ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আর অর্জনে গিয়ে ঘাটতি পড়ে আরো ১০/১২ শতাংশসহ মোট প্রায় ২৫ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বছর জুড়ে তদারকি না থাকায় ঠিকভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না জাতীয় বাজেট। ব্যাপক লুটপাট-অপচয়ে কাঙ্খিত সুফলও পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ।
২০১৯-২০ অর্থবছরে প্রস্তবিত বাজেটের আকার ছিলো ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দু বছর পর সে বাজেটের হিসেব পাওয়া গেছে, যেখানে ৪ লাখ ২০ হাজার ১৬০ কোটি টাকা বাস্তবায়নের তথ্য মিলেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরের বাস্তবায়িত বাজেটের হিসেব এখনো নিরুপন হয়নি। তবে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত সেই বাজেটটি রিভাইজে এসে ৫ লাখ ৩৮ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা ধরা হয়েছে।ফুটেজ-১ ও ফুটেজ-২ এর টাকা গননার অংশ
গেল ১০ বছরের পরিসংখ্যন বলছে, প্রতি বছর এভাবেই ধাপে ধাপে কমতে থাকে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার। চুড়ান্ত হিসেবে যার ব্যবধান থাকে কমপক্ষে ২০ শতাংশেরও বেশী।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এখন পর্যন্ত বাজেটের শতভাগ বাস্তবায়িত হয়নি কোন অর্থবছরেই। একইসাথে বাস্তবায়নের প্রতিবন্ধকতাগুলোও চিহ্নিত করেনি সরকার। তাই প্রতিবছরের বাজেটে জনগনের ভাগ্যন্নয়নের অনেক গালগল্প থাকলেও বছর শেষে তার নাগাল পায়না সাধারণ মানুষ।
আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, প্রস্তাবিত বাজেটের রুপরেখা ধরেই সারা বছরের কর্ম-পরিকল্পনা নির্ধারণ করেন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা। বছর শেষে খাতগুলো যখন অপুর্ণ থাকে তখন ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী তথা জাতীয় অর্থনীতি।
২০২১-২২ অর্থবছরে ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হয়েছে গত পরশু। এর বাইরে সরকারের বিভিন্ন ধরনের সংযুক্ত দায় রয়েছে। সব মিলিয়ে এই অর্থবছরে ৭ লাখ ৯২ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা খরচ করার পরিকল্পনা আছে সরকারের।