লাভগুরুর চোখের ভালোবাসা কেমন?
- আপডেট সময় : ১২:৫১:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৫৮ বার পড়া হয়েছে
লাভগুরু নামে সুপরিচিত তামিম হাসান। রেডিও আমার এর জনপ্রিয় শো ‘আমার ভালোবাসা উইথ লাভগুরু’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হাজার হাজার শ্রোতাদের ভালোবাসার গল্প শুনেছেন। কিন্তু লাভগুরুের চোখে ভালোবাসা কেমন? এ প্রসঙ্গে এসএ টিভি ডিজিটালের সঙ্গে কথা বলেছেন লাভগুরু তামিম হাসান।
তামিম হাসান ভালোবাসা নিয়ে দারুণ একটা সংজ্ঞা দিয়েছেন। যা পাঠকদের উদ্দেশ্য তুলে ধরা হলো- ‘নিজের বাইরেও একটা মানুষকে নিজের চেয়ে ভালো থাকতে দেখার আনন্দই ভালোবাসা। তিনি বলেন, ‘নিজে ভালো থাকার আনন্দ যতটা তার চেয়ে বেশি আনন্দ যখন পাওয়া যায় অন্যকে ভালো রাখতে পারায়, সেটাই ভালোবাসা। ইমোশন, অ্যাট্রাকশন তো বাহ্যিকভাবেই টের পাই আমরা। অন্যকে ভালো রাখতে পারার চেষ্টাটা ইনার ফিলিং। এটাই আমার কাছে ভালোবাসা।’
ভালোবাসা কাকে বলে? এই প্রশ্নের বৈচিত্র্যময় উত্তর পাওয়া যাবে। অনুভবের পার্থক্যের কারণেই এমন হয়। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথও দ্বিধান্বিত ছিলেন। তিনি বলে গেছেন- তোমরা যে বলো ভালোবাসা ভালোবাসা, সখী ভালোবাসা কারে কয়?
‘আমার ভালোবাসা উইথ লাভগুরু’ অনুষ্ঠানের অতিথিদের প্রেম নিয়ে কার্যকর টোটকাও দিতে শোনা যায়। কিন্তু নিজেও প্রেমের চিরাচরিত নিয়মের বাইরে নন। তারও প্রেমের সম্পর্কে ভাঙন আসে। তিনিও হয়তো প্রেম ভাঙার পর বিষাদগ্রস্ত হন। তবে শান্তিময় এবং অর্থপূর্ণ না হলে সে সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে তিনি।
নিজের প্রেম এবং প্রেমের ভাঙন নিয়ে এভাবেই বলেন লাভগুরু, ‘একটা সম্পর্ক দীর্ঘদিন চলার পর নানা কারণেই ফাটল তৈরি হতে পারে। সেসব ফাটলের কারণে সম্পর্কের শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। সম্পর্কটাকে তখন আর অর্থপূর্ণ মনে হয় না। অর্থহীন কিংবা অশান্তিময় সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার চেয়ে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে বেরিয়ে আসাই যুক্তিযুক্ত মনে করি। আমার ক্ষেত্রে আমি এটাই অনুসরণ করেছি।’
ভালোবাসা দিবসে লাভগুরু আরেকটা উপলব্ধির হলো- ‘মানুষের বেঁচে থাকার জন্য ভালোবাসা খুব প্রয়োজন। খুব।’