লোকসানের মুখে অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট
- আপডেট সময় : ০৪:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
একদিকে লোকসান অন্যদিকে দেশী টেলিভিশনগুলো বিশ্বব্যাপী কাভারেজ না পাওয়া, চার্জ বেশি নেয়া,টেলিভিশনগুলোর শত কোটি টাকার মালামাল নষ্ট হওয়াসহ নানা কারণে অন্তঃসারশূন্য হয়ে পড়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-এক। এমন পরিস্থিতির খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ। অভিযোগ রয়েছে পতিত স্বৈরচারের উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন পরিষেবা প্রতিষ্ঠান-আকাশকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট। এখনো কমিশন পান হাসিনা পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা এবং বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান।
তার মালিকানাধীন ডিরেক্ট-টু-হোম -ডিটিএইচ সেবা ‘আকাশ’ সারা দেশে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। এই ব্যবসায় যাতে কেউ ভাগ বসাতে না পারে সেজন্য ডিটিএইচ’র লাইসেন্স নবায়ন থাকলেও বেঙ্গল গ্রুপের ‘বায়ার মিডিয়া’কে তরঙ্গ বরাদ্দ দেয়নি বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড-বিএসসিএল।
অভিযোগ রয়েছে, মূলত সালমান এফ রহমানের ইশারাতেই ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ এর তরঙ্গ বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। অথচ স্যাটেলাইটের বেশকিছু ট্রান্সপন্ডার এখনও অব্যবহৃত রয়েছে। তবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ডিটিএইচ সেবা চালু করতে স্যাটেলাইট কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করছে বেঙ্গল গ্রুপ লিমিটেড।
পতিত হাসিনা সরকার আকাশকে একচেটিয়া ব্যবসা করতে সুবিধা দেয়ায় ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে ক্যাবল অপারেটররা। তারা বলেন, ফ্যাসিবাদি প্রক্রিয়ায় সালমান এফ রহমান সুবিধা নিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট থেকে।
সালমান এফ রহমানের স্যাটেলাইট টেলিভিশন পরিষেবা প্রতিষ্ঠান-আকাশকে বিশেষ সুবিধা দিচ্ছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-এমনও অভিযোগ বেসরকারী টেলিভিশন মালিকদের।
অভিযোগ রয়েছে, অনৈতিক আর্থিক সুবিধা নিতে স্যাটেলাইটের মূল উদ্যোক্তা সজীব ওয়াজেদ জয় এখনো পাচ্ছেন কমিশন।
সিংকঃ আব্দুস সালাম, চেয়ারম্যানও ও সিইও একুশে টেলিভিশন
তারা বলেন, দলীয় সার্থে বাংলাদেশকে বিশ্ব ব্র্যান্ডিং এর নামে লোক দেখানো ছিল মুখ্য। অন্তঃসারশূন্য স্যাটেলাইটের কারণে তার খেসারত দিচ্ছে বাংলাদেশ।
এদিকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হওয়ার পর থেকে দেশের ৪০ টি টেলিভিশন চ্যানেলের শত শত কোটি টাকার গুরুত্বপুর্ণ মালামালও কাজে আসছে না। এমনকি ডিএসএনজির মতো অনেক ব্যয়বহুল সরঞ্জমাদি নষ্ট হচ্ছে। এতেও ক্ষতির সম্মুখিন টেলিভিশন মালিকরা।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দ্রুত প্রকল্পটি বন্ধের প্রক্রিয়া নিতে হবে। তা না হলে লোকসানের পাল্লাই ভারী হবে।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অনিয়মের বিষয়ে বিটিআরসির বক্তব্য চেয়েও পাওয়া যায়নি।