লোহিত সাগর পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য রপ্তানিতে জটিলতা
- আপডেট সময় : ১১:১২:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
- / ১৬৫৪ বার পড়া হয়েছে
লোহিত সাগর পরিস্থিতিতে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে বাংলাদেশী রপ্তানিপণ্য নিয়ে নতুন জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন পথে পণ্য পরিবহনে মাদার ভেসেলের সিডিউল বিপর্যয় ঘটছে। তাই সঠিক সময়ে পণ্য গন্তব্যে পৌঁছনো নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। এতে বিপাকে দেশের রপ্তানিকারকরা। বিদেশী শিপিং কোম্পানী বলছে, বৈশ্বিক সংকটে কিছুই করার নেই তাদের। তবে সমস্যা সমাধানে সচেষ্ট তারা।
চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর থেকে ইউরোপ, আমেরিকাগামী রপ্তানি পন্যভর্তি কন্টেইনার মূলত বিভিন্ন ফিডার ভ্যাসেল করে প্রথমে সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও পোর্ট ক্যালাং এর মতো ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তুলে দেওয়া হয় মাদার ভ্যাসেলে। এসব মাদার ভ্যাসেল এতোদিন এডেন উপসাগর ও লোহিত সাগরের ভেতর দিয়ে সুয়েজ খাল হয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতো।
সম্প্রতি লোহিত সাগরে হুথি বিদ্রোহীদের হামলার পর মাদার ভ্যাসেল যাচ্ছে উত্তমাশা অন্তরীপ ঘুরে জিব্রাল্টার প্রণালী হয়ে। এ পথে প্রতিটি জাহাজের বাড়তি সময় লাগছে দুই সপ্তাহ। এতে ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরে মাদার ভ্যাসেলের শিডিউল বির্পযয় ও সংকট দেখা দিয়েছে।
ফিডার ভ্যাসেল ও মাদার ভ্যাসেলের মধ্যে সমন্ময় না হওয়ায়, সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশের রপ্তানীমুখী শিল্প মালিকরা। কারণ দেশের রপ্তানি পন্যের ৬৩ শতাংশের গন্তব্য ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে। যার প্রধান রুট লহিত সাগর। এই পরিস্থিতিতে পন্য যথাসময়ে পরিবহন নিয়ে তৈরি হয়েছে গভীর সংকট।
বিদেশী শিপিং কোম্পানী বলছে, বৈশ্বিক এই সংকটে অপেক্ষা করা ছাড়া আপাতত আর কোনো সমাধান দেখছেন না তারা। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
সুয়েজ খাল ও লোহিত সাগরের প্রচলিত রুটের চেয়ে নতুন রুটে পণ্য পৌছতে ১০ থেকে ১২ দিন সময় বেশি লাগবে। আর সময়মত মাদার ভ্যাসেল ধরতে না পারলে, দুই মাসেও পণ্য পৌছবে না গন্তব্যে।