শব্দ দূষণের পাল্লায় পড়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয় মানুষের শরীরে

- আপডেট সময় : ০১:৪৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
- / ১৫৭৬ বার পড়া হয়েছে
শ্রুতিসীমা অতিক্রমকারী যে কোন শব্দই…পরিচিত শব্দ দূষণ নামে। এ কারণে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। এছাড়াও শব্দ দূষণের পাল্লায় পড়ে অনেক জটিলতা তৈরি হয় মানুষের শরীরে। যানজট কলকারখানা থেকে দূষণ সৃষ্টিকারী এরকম তীব্র শব্দের উৎপত্তি। বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের অধীনে। নির্ধারণ করা হয়েছে শব্দের মাত্রা।
বাড়ছে মানুষ, বাড়ছে যানবাহনের সংখ্যা… ফলে বাড়ছে শব্দ দূষণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শব্দ দূষণে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়াসহ স্থায়ীভাবে নষ্ট হচ্ছে শ্রবণশক্তি। এছাড়াও শব্দ দূষণে উচ্চ রক্তচাপ, ফুসফুস জটিলতা, ক্ষুধা মন্দা, মানসিক চাপ বৃদ্ধি, মস্তিষ্ক বিকৃতি ও স্মরণশক্তি হ্রাসে বাড়ছে অনিদ্রা। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীরা ভুগছে এসব জটিলতায়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে শব্দ দূষণের ফলে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ শতাংশ মানুষ ।তবে বাংলাদেশে এ সংখ্যা আরও বেশি বলে জানালেন জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের এই উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।
আর জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানালেন, শব্দ দূষণের অপকারিতা প্রসংগে সমাজের সকল শ্রেণী-পেশার মানুষকে এ বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কাজ করছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও।
বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যেই নীরব, আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্প এলাকায় শব্দের মাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে বলে জানালেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নিরব এলাকায় শব্দের মাত্রা ৫০ থেকে ৪০, আবাসিক এলাকায় ৫৫ থেকে ৪৫,মিশ্র এলাকায় ৬০ থেকে ৫০,বাণিজ্যিক এলাকায় ৭০ থেকে ৬০, এবং শিল্প এলাকায় ৭৫ থেকে ৭০ ডেসিবল। নিয়ম অমান্যে রাখা হয়েছে শাস্তির বিধানও।