শব্দ দূষণে বিশ্বে আবারও শীর্ষে ঢাকা
- আপডেট সময় : ০২:২৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ মার্চ ২০২২
- / ১৬৬২ বার পড়া হয়েছে
শুধু সড়কে থাকা মানুষ নয়, গর্ভের শিশুটিও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গণপরিবহনের শব্দের অত্যাচারে। চিকিৎসাবিদরা বলছেন, উচ্চমাত্রার এসব শব্দ স্থায়ী বধিরতাসহ মানবদেহের জটিল অনেক রোগের নেপথ্য কারণ হিসেবে কাজ করছে। যদিও শব্দ দূষণ যে অপরাধ, সেকথাই জানেন না অনেকে। পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের কার্যকর প্রয়োগ না থাকাকেও এই সামাজিক ব্যাধীর অন্যতম কারণ বলে মনে করেন আইন বিশেষজ্ঞরা। জাতিসংঘের পরিবেশ কর্মসূচির সবশেষ প্রতিবেদনে শব্দ দূষণে বিশ্বের শীর্ষ শহর হিসেবে আবারও উঠে এসেছে ঢাকার নাম।
নগর জীবনে শব্দ দূষণের অত্যাচারে কানে আঙ্গুল দিয়ে চলতে বাধ্য হচ্ছে নগরবাসী।
দিনরাত্রি শব্দের উচ্চ মাত্রা ও যথেচ্চা ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে দেখার যেন কেউ নেই।
জাতিসংঘের পরিবেশ বিষয়ক ফ্রন্টিয়ারস ২০২২ র নয়েজ, ব্লেজেস অ্যান্ড মিসচ্যাচেস প্রতিবেদনে বলা হয়, শব্দ দূষণের তালিকায় ঢাকার অবস্থান প্রথম।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ৬০ ডেসিবেলের অধিক শব্দ যদি দীর্ঘসময় ধরে থাকে তাহলে সাময়িক বধিরতা আর ১০০ ডেসিবেলের বেশি হলে স্থায়ী বধিরতা হতে পারে। স্বাভাবিক বা সহনীয় শব্দের মাত্রা ৫৫ থেকে ৬০ ডেসিবেল। সেখানে ঢাকায় শব্দের মাত্রা ১১৯ ডেসিবেল এবং রাজশাহীতে ১০৩ ডেসিবেল।
ট্রাফিক পুলিশের দাবী একটানা ডিউটির কারণে উচ্চ মাত্রার শব্দে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত তারা ।
শব্দের এই দূষণ মানুষের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় দীর্ঘ ও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে বলে মনে করেন চিকিৎসাবিদরা।
গণপরিবহন চালকসহ অনেকেই জানেন না শব্দ দূষণ একটি অপরাধ।
শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬’ একমাত্র আইনি হাতিয়ার। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন এই বিধিমালা অনেক পুরোনোআর কার্যকর না থাকায় প্রতিনিয়ত দূষণের মাত্রা বাড়ছে। বিষয়টি হাইকোর্টের নজরে আনে হিউম্যান রাইটস্ অ্যাণ্ড পিস ফর বাংলাদেশ।
শুধু বাংলাদেশ নয় বর্তমানে বিশ্বের ৫ ভাগ মানুষ শব্দ দূষণের শিকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত।