শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের ভিড়
- আপডেট সময় : ০২:১২:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৩৬ বার পড়া হয়েছে
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতির মেধাবী সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ছিলো সব শ্রেণী-পেশার মানুষের উপচে পড়া ভিড়। এদিন মুক্তিযোদ্ধাসহ সবার কণ্ঠে ছিল একটাই দাবী, বুদ্ধিজীবীদের পলাতক ঘাতক মুঈনুদ্দীন-আশরাফ’ কে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করা। আর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বজনদের অভিযোগ, পলাতক ঘাতকদের ফিরিয়ে দিতে মানবাধিকারের নামে দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে উন্নত রাষ্ট্রগুলো।
সূর্যের আলোকে পেছনে ফেলে বিনম্রচিত্তে শহীদ বেদীর দিকে এগিয়ে চলা শিশুটির নাম আদ্রিতা । শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবার পর, একাত্তরে শহীদ দাদুর স্মরণে কিছুটা সময় দাড়িয়ে থাকে সপ্তম শ্রেণীর এই শিক্ষার্থী। ঘাতকদের বিচারের দাবী ছিল শিশুটির কণ্ঠে।
আদ্রিতার মত আরো একজন সেলিম রেজা। তিনি জানান, অনেক খোঁজার পর মুক্তিযোদ্ধা বাবা তামিজউদ্দিনের লাশটি পেয়েছিলেন এই রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে। একাত্তরের মেধাবী বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এদিন রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে ছিল সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপচে পড়া ভিড় । কারো হাতে ছিল লাল সবুজের বিশাল পতাকা আবার কেউ এনেছিল শোকের বিশাল পতাকা। এ সময় নিজেদের অনুভূতির কথা জানায় তারা।
সারিবদ্ধভাবে বিনম্র চিত্তে সবাই এগোয় শহীদ বেদীর উদ্দেশ্যে। ফুলে ফুলে ভরে যায় জাতির মেধাবী সন্তানদের স্মৃতিস্তম্ভ। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বজনদের অভিযোগ, পলাতক ঘাতকদের ফিরিয়ে দিতে দ্বৈত নীতি অবলম্বন করছে যুক্তরাষ্ট্রসহ উন্নত রাষ্ট্রগুলো। স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র এখনো চলছে, এমন অভিযোগও করেন কেউ কেউ। সময় যত গড়ায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে ততই বাড়তে থাকে ভীড়, এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ছড়িয়ে পড়ে একাত্তরের মেধাবী বীরদের আত্মত্যাগের গৌরবগাঁথা।