শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থান
- আপডেট সময় : ০৫:৩৫:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মার্চ ২০২৩
- / ১৬৬১ বার পড়া হয়েছে
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ মুখোমুখি অবস্থানে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীরা রেললাইনে নাশকতা, বাজারে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করেছে বলে জানিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গড়িমসি করেছে পুলিশ। এ কারণে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মিশে গিয়ে বহিরাগতরাই সহিংসতা করেছে বলে পাল্টা অভিযোগ ভিসির। রাজশাহী থেকে জিয়াউল গনি সেলিমের প্রতিবেদন।
ঘটনার সূত্রপাত শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে। কিন্তু তিন ঘণ্টা পর অ্যাকশনে নামে পুলিশ। এর মধ্যেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতর থেকে বেরিয়ে বিনোদপুর বাজারে বৃষ্টির মতো পেট্রোল বোমা ছোঁড়া হয়। অপরদিকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ্যে করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে স্থানীয়রা। এতে গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিনোদপুর বাজারসহ বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। থেমে থেমে রাত ১টা পর্যন্ত চলে সংর্ষ। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট, ছোররা গুলি ও জলকামান ব্যবহার করে। এতে আহত হয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তি হয়।
ঘটনার দুদিন পর মুখ খুলেছে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।সংঘর্ষের ঘটনা দীর্ঘায়িত হওয়ার পেছনে পরস্পরকে দায়ী করছেন তারা। পুলিশ কমিশনার বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি না দেয়ায়, অ্যাকশনে যেতে পারেনি পুলিশ। এ সুযোগে নাশকতা চালিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন উপাচার্য। তাঁর দাবি, শিক্ষার্থীরা নয়, বহিরাগতরাই পরিস্থিতি জটিল করতে নাশকতা চালিয়েছে।
এদিকে, আন্দোলনে এতো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থী আহত হওয়াকে নজিরবিহীন উল্লেখ্ করে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
শনিবারের ঘটনায় আলাদা মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ। তবে মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি।