শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার রায়ে ১৪ জঙ্গীকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ
- আপডেট সময় : ০৮:২৪:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ মার্চ ২০২১
- / ১৫২৪ বার পড়া হয়েছে
দুই দশক আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পেতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় ১৪ আসামির সবাইকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মোহাম্মদ কামরুজ্জামান দুপুরে এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিতরা সবাই জঙ্গী সংগঠন হরকাতুল জিহাদের সদস্য। রায়ে ফায়ারিং স্কোয়াডে প্রকাশ্যে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা সম্ভব না হলে প্রচলিত নিয়মেই ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে বলেন বিচারক।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান আদর্শ কলেজের মাঠে আয়োজিত সভাবেশে বক্তব্য দেবেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পূর্ব নির্ধারিত সভার দিনে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার জন্য মাঠ সংলগ্ন স্থানে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখে জঙ্গীরা। কিন্ত গোয়েন্দা তৎপরতায় পণ্ড হয়ে যায় জঙ্গীদের পরিকল্পনা,একদিন আগেই বোমা উদ্ধার করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের এ মামলায় ২০০১ সালের ১৫ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।২০০৪ সালে ১৪ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ৫০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য নেয়া হয়। চলতি বছর ১১ মার্চ শুরু হওয়া যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শুনানি শেষে ২৩ মার্চ রায়ের দিন ঘোষণা করে আদালত।
মঙ্গলবার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্রের ওই মামলায় জড়িত সব আসামীর মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় আদালত।
বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরীকে হত্যাই ছিল জঙ্গীদের উদ্দেশ্য, জনমনে আতংক সৃষ্টিকারীদের সর্বোচ্চ সাজাই ন্যায়বিচার বলে পর্যবেক্ষণ দেয় আদালত।
বোমা মেরে হত্যার ষড়যন্ত্রের ঘটনার মাস্টারমাইণ্ড হুজি নেতা মুফতি হান্নানকে এই মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। কারণ অন্য একটি মামলায় আগেই তার ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
এদিন আদালতে উপস্থিত থাকলেও রায় ঘোষণার পর গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যান আসামীপক্ষের আইনজীবীরা।