০২:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে : দৈনিক ‘দ্য হিন্দু

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৬৬৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে হারলে বাংলাদেশ দীর্ঘ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি বাড়তে পারে উগ্রবাদ। এমন আশঙ্কা জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু। অন্যদিকে দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে। তবে সংবিধানে না থাকায় তারা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সম্মতি দিচ্ছে না।

১৪ বছর ধরে একটানা দেশের ক্ষমতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ নির্বাচন। এর আগে আবারো ক্ষমতায় ফিরবে কিনা দলটি তা নিয়ে দেশে বিদেশে চলছে ব্যাপক বিশ্লেষণ।

গেলো এক সপ্তাহে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দ্যা হিন্দু’তে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সাংবাদিক প্রণয় শর্মা লিখেছেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করছে। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত ও সমমনা দলগুলো বাংলাদেশে শাসন পরিচালনা করবে-এমন সম্ভাবনা ঢাকা ও দিল্লিতে উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি করেছে।

হিন্দুর প্রতিবেদন বলছে, ভারতে বিজেপি নেতাদের মুসলিম-বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশের বিরোধী বক্তব্যকে শেখ হাসিনা যে আমলে নেন না, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক বিদ্যমান।

দ্য হিন্দু’র মতে, শেখ হাসিনার পরাজয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত করবে। দেশটি আবারও উগ্রবাদীদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হতে পারে। যা শুধু ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে, ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নৈকট্যের বিষয়টি তুলে এনেছে। চীনকে কোণঠাসা করতেই তাদের এই ঐক্যমত। এই দুই দেশের অন্যতম এজেন্ডা ইসলামীপন্থী দলগুলোকে দমন করা।

দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিলে… আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিধান না থাকায়, এ বিষয়ে আপত্তি আছে ভারত ও বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার।

নির্বাচনের আগেই দুর্নীতি ও ব্যাংক খেলাপীদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে এমন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনে উঠেছে এসেছে, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চাপ রয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর। এই যাতাকলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

দুই পক্ষই বলছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন রাজনীতি বিমুখ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াবে। প্রার্থী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এসব চর্চা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মত দ্য টেলিগ্রাফের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শেখ হাসিনা নির্বাচনে হারলে বাংলাদেশ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে : দৈনিক ‘দ্য হিন্দু

আপডেট সময় : ০৮:০০:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনে হারলে বাংলাদেশ দীর্ঘ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার মুখে পড়তে পারে। পাশাপাশি বাড়তে পারে উগ্রবাদ। এমন আশঙ্কা জানিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী দৈনিক দ্য হিন্দু। অন্যদিকে দ্য টেলিগ্রাফ বলছে, আগামী নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের চাপ রয়েছে। তবে সংবিধানে না থাকায় তারা তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে সম্মতি দিচ্ছে না।

১৪ বছর ধরে একটানা দেশের ক্ষমতায় বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি বছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ নির্বাচন। এর আগে আবারো ক্ষমতায় ফিরবে কিনা দলটি তা নিয়ে দেশে বিদেশে চলছে ব্যাপক বিশ্লেষণ।

গেলো এক সপ্তাহে ভারতের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় রোববার ভারতের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক দ্যা হিন্দু’তে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় টিকে থাকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সাংবাদিক প্রণয় শর্মা লিখেছেন, নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান বাংলাদেশের বিরোধী দলগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করছে। বিএনপির পৃষ্ঠপোষকতায় জামায়াত ও সমমনা দলগুলো বাংলাদেশে শাসন পরিচালনা করবে-এমন সম্ভাবনা ঢাকা ও দিল্লিতে উদ্বেগ ও শঙ্কা তৈরি করেছে।

হিন্দুর প্রতিবেদন বলছে, ভারতে বিজেপি নেতাদের মুসলিম-বিদ্বেষী এবং বাংলাদেশের বিরোধী বক্তব্যকে শেখ হাসিনা যে আমলে নেন না, এর মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে দুই পক্ষের মধ্যে শক্তিশালী ও বিশ্বস্ত সম্পর্ক বিদ্যমান।

দ্য হিন্দু’র মতে, শেখ হাসিনার পরাজয় বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা দীর্ঘায়িত করবে। দেশটি আবারও উগ্রবাদীদের আঁতুড় ঘরে পরিণত হতে পারে। যা শুধু ভারত নয়, পুরো দক্ষিণ এশিয়ার জন্য দুর্ভাবনার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।

এদিকে, ভারতের আরেক প্রভাবশালী দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নৈকট্যের বিষয়টি তুলে এনেছে। চীনকে কোণঠাসা করতেই তাদের এই ঐক্যমত। এই দুই দেশের অন্যতম এজেন্ডা ইসলামীপন্থী দলগুলোকে দমন করা।

দ্য টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, আসন্ন জি টুয়েন্টি সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দিলে… আসন্ন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। তবে বাংলাদেশের সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোন বিধান না থাকায়, এ বিষয়ে আপত্তি আছে ভারত ও বিশ্ব মোড়ল আমেরিকার।

নির্বাচনের আগেই দুর্নীতি ও ব্যাংক খেলাপীদের বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে আওয়ামী লীগকে এমন তথ্য দিয়ে প্রতিবেদনে উঠেছে এসেছে, নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টানতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার চাপ রয়েছে শেখ হাসিনার সরকারের ওপর। এই যাতাকলে সাধারণ মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।

দুই পক্ষই বলছে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন রাজনীতি বিমুখ বাংলাদেশের তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়াবে। প্রার্থী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে জনপ্রিয়তার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে। এসব চর্চা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মত দ্য টেলিগ্রাফের।