ষোল বছরের দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ
- আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ১৬১৮ বার পড়া হয়েছে
বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সিডিএ। চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে দিয়েছেন কর্মকর্তা কর্মচারীদের পদোন্নতি। নির্বিঘ্নে দুর্নীতি করতে নিজেদের পছন্দের লোকদের দিয়ে সাজিয়েছেন বোর্ড। নগর পরিকল্পনায় গুরুত্ব না দিয়ে এখতিয়ার বহির্ভুত প্রকল্পের মাধ্যমে লুটে নিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন সরকারের শীর্ষ পর্যায়ে কোন জবাবদিহিতা না থাকায় এই অবস্থা তৈরী হয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানটির নতুন চেয়ারম্যান বলছেন, আগে অফিসের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে অতিতের দুর্নীতির অনুসন্ধানে মনোযোগী হবেন তিনি।
আব্দুস সালাম আর জহিরুল আলম দোভাষ। একজন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আর অন্যজন কোষাধক্ষ। আওয়ামীলীগের শেষ ১৫ বছর দুই জনই ছিলেন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান। মিলে মিশে ধ্বংস করে দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটিকে।
লালখানবাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার লম্বা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হলেও অনেক অংশে নির্মাণকাজ এখনো চলছে। তিনবার ডিজাইনে পরিবর্তন এনে ব্যায় বাড়ানো হয়েছে ১ হাজার ৪৯ কোটি টাকা।
কাট্টলী থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত আউটার রিং রোড নামের সোজা একটি সড়ক তৈরীতে ২ হাজার ৮৮৪ কোটি টাকা ব্যয় বাড়াতে ডিজাইন পরিবর্তন করা হয়েছে চারবার।এভাবেই অন্তত ২৫ টি প্রকল্পে মাঝপথে ডিজাইন পরিবর্তন করে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে আওয়ামীলীগ নেতারা।
নির্বিঘ্নে এসব হরিলুটের আয়োজন সম্পন্ন করতে ভেঙ্গেছেন প্রতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা। নিয়ম ভেঙ্গে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেয়া হয়েছে পদোন্নতি। এসব অপকর্ম নির্বিঘ্ন করতে আওয়ামীলীগ নেতাদের দিয়েই তৈরী করা হয়েছিলো বোর্ড। তাই এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনার দাবি বিশ্লেষকদের।
পতিত স্বৈরচারি সরকার আমলে দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হওয়া সিডিএকে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেন সিডিএ’র নতুন চেয়ারম্যান। সেটাফ
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পও বাস্তবায়ন করছে সিডিএ। খাতা কলমে ৭০ শতাংশ কাজ বাস্তবায়ন হলেও কোন সুফল পায়নি নগরবাসী।