০৪:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪

সবচেয়ে দীর্ঘ দিনকে ঘিরে লিথুয়ানিয়ার উৎসব

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১৫৭১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইউরোপের ছোট দেশ লিথুয়ানিয়ার মানুষ বছরের সবচেয়ে ছোট রাতে উৎসবে মেতে ওঠে৷ নানা ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অশুভ ও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখার চেষ্টা করে ছোটবড় সব মানুষ৷

লাটভিয়ার বছরের সেরা উৎসবের নাম মিডসামার ফেস্টিভ্যাল৷ প্রত্যেক বছর ২৩শে জুন রাতে গোটা লাটাভিয়ায় গ্রীষ্মের সূর্যকে এভাবে স্বাগত জানানো হয়৷

কিন্তু সেই উৎসবে ঠিক কী পালন করা হয়? উৎসবের খুঁটিনাটী ও ঐতিহ্যের দিকে নজর দেওয়া যাক৷ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আন্ডা বেকেরে বলেন, ‘‘মিডসামার উৎসব চিরকাল চলে আসছে৷ পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী সবাই একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে সমবেত হয়৷”

লাটভিয়ায় এই উৎসব ‘লিগো’ বা ‘ইয়ানি’ নামে পরিচিত৷ হাজার বছরের ঐতিহ্য মেনে উৎসব পালন করা হয়৷

রাজধানী রিগা থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে কাজডাঙায় রাত আটটা থেকে উৎসব জমে উঠেছে৷ আয়োজক হিসেবে ইয়ানিস রুডজ্রোগা এক দিন আগে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন৷ বড় করে বনফায়ারের আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি৷ মায়ের কাছ থেকে সেই ঐতিহ্য শিখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন৷

ফুলের স্তবক তৈরি করা উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচারের মধ্যে পড়ে৷ প্রকৃতির কোলে বা বাগানে যে কোনো বুনো উপকরণই সাজানোর কাজে লাগানো যায়৷ ঘরে তৈরি জিরার চিজ খাওয়াও উৎসবের অঙ্গ৷ সবাই মিলে লোকসংগীত গাওয়া ও একসঙ্গে নাচাও চাই৷ সব বয়সের মানুষই তাতে শামিল হয়৷

ফুলের স্তবক দুর্ভাগ্য ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করা হয়৷ নানা বয়সের নারী ফুল, জড়িবুটি ও ঘাস দিয়ে তৈরি স্তবক পরে৷ পুরুষদের স্তবকে থাকে ওক গাছের পাতা৷ সব কিছু নিজেকেই গাছ থেকে তুলতে হয়৷ কিংবদন্তি অনুযায়ী লিগো উৎসবের জন্য সংগ্রহ করা জড়িবুটি জাদুময়, সেগুলির নিরাময়ের শক্তি থাকে৷ ইয়ানিসের মা ভাইরা রুডজ্রোগা বলেন, ‘‘এই সব পাপড়ি দিয়ে খুব ভালো চা তৈরি করা যায়৷ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে৷”

চার বছর ধরে ভাইরার ছেলে ইয়ানিস লিগো উৎসব আয়োজন করে আসছেন৷ গত বছর প্রায় ২০০ অতিথি এসেছিলেন৷ চলতি বছর প্রায় ৩০০ মানুষ সমবেত হয়েছেন৷ ইয়ানিস বলেন, ‘‘আমি নার্ভাস নই বা স্ট্রেস অনুভব করছি না৷ কথায় বলে, নিজের সেরাটা করে দেখাও৷ তখন নার্ভাস হবার কোনো কারণ থাকে না৷ কারণ তুমি তো তোমার সেরা দিক তুলে ধরেছো৷”

সবকিছু ওক গাছের ডালপালা দিয়ে সাজানোও ঐতিহ্যের অঙ্গ৷ সেগুলিও অশুভ আত্মা ও নেতিবাচক শক্তি দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করা হয়৷ জঙ্গল থেকে এমন ডালপালা সংগ্রহ করা হয়৷

আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, প্রকৃতির কোলে খোলা আকাশের নীচেই উৎসব পালন করা হয়৷ সে কারণে বনফায়ারের জন্য যথেষ্ট কাঠ জমা রাখা অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ সারারাত আগুন জ্বলে৷ বনফায়ার মানুষকে উষ্ণতা দেয়, জাগিয়ে রাখে৷ একেবারেই ঘুমানোর জো নেই, কারণ, সেটা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে৷ এমনকি বাচ্চারাও সারা রাত জেগে উৎসবে মেতে থাকে৷ লাটাভিয়ার সবচেয়ে ছোট রাত হয়ে ওঠে অ্যাডভেঞ্চারে ভরা৷

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সবচেয়ে দীর্ঘ দিনকে ঘিরে লিথুয়ানিয়ার উৎসব

আপডেট সময় : ১২:৫৬:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউরোপের ছোট দেশ লিথুয়ানিয়ার মানুষ বছরের সবচেয়ে ছোট রাতে উৎসবে মেতে ওঠে৷ নানা ঐতিহ্য, আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অশুভ ও নেতিবাচক শক্তিকে দূরে রাখার চেষ্টা করে ছোটবড় সব মানুষ৷

লাটভিয়ার বছরের সেরা উৎসবের নাম মিডসামার ফেস্টিভ্যাল৷ প্রত্যেক বছর ২৩শে জুন রাতে গোটা লাটাভিয়ায় গ্রীষ্মের সূর্যকে এভাবে স্বাগত জানানো হয়৷

কিন্তু সেই উৎসবে ঠিক কী পালন করা হয়? উৎসবের খুঁটিনাটী ও ঐতিহ্যের দিকে নজর দেওয়া যাক৷ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে আন্ডা বেকেরে বলেন, ‘‘মিডসামার উৎসব চিরকাল চলে আসছে৷ পরিবার, বন্ধুবান্ধব, প্রতিবেশী সবাই একসঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে সমবেত হয়৷”

লাটভিয়ায় এই উৎসব ‘লিগো’ বা ‘ইয়ানি’ নামে পরিচিত৷ হাজার বছরের ঐতিহ্য মেনে উৎসব পালন করা হয়৷

রাজধানী রিগা থেকে প্রায় দেড়শো কিলোমিটার দূরে কাজডাঙায় রাত আটটা থেকে উৎসব জমে উঠেছে৷ আয়োজক হিসেবে ইয়ানিস রুডজ্রোগা এক দিন আগে প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন৷ বড় করে বনফায়ারের আয়োজন করা অত্যন্ত জরুরি৷ মায়ের কাছ থেকে সেই ঐতিহ্য শিখেছেন বলে তিনি স্বীকার করেন৷

ফুলের স্তবক তৈরি করা উৎসবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আচারের মধ্যে পড়ে৷ প্রকৃতির কোলে বা বাগানে যে কোনো বুনো উপকরণই সাজানোর কাজে লাগানো যায়৷ ঘরে তৈরি জিরার চিজ খাওয়াও উৎসবের অঙ্গ৷ সবাই মিলে লোকসংগীত গাওয়া ও একসঙ্গে নাচাও চাই৷ সব বয়সের মানুষই তাতে শামিল হয়৷

ফুলের স্তবক দুর্ভাগ্য ও অশুভ শক্তিকে দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করা হয়৷ নানা বয়সের নারী ফুল, জড়িবুটি ও ঘাস দিয়ে তৈরি স্তবক পরে৷ পুরুষদের স্তবকে থাকে ওক গাছের পাতা৷ সব কিছু নিজেকেই গাছ থেকে তুলতে হয়৷ কিংবদন্তি অনুযায়ী লিগো উৎসবের জন্য সংগ্রহ করা জড়িবুটি জাদুময়, সেগুলির নিরাময়ের শক্তি থাকে৷ ইয়ানিসের মা ভাইরা রুডজ্রোগা বলেন, ‘‘এই সব পাপড়ি দিয়ে খুব ভালো চা তৈরি করা যায়৷ ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করে৷”

চার বছর ধরে ভাইরার ছেলে ইয়ানিস লিগো উৎসব আয়োজন করে আসছেন৷ গত বছর প্রায় ২০০ অতিথি এসেছিলেন৷ চলতি বছর প্রায় ৩০০ মানুষ সমবেত হয়েছেন৷ ইয়ানিস বলেন, ‘‘আমি নার্ভাস নই বা স্ট্রেস অনুভব করছি না৷ কথায় বলে, নিজের সেরাটা করে দেখাও৷ তখন নার্ভাস হবার কোনো কারণ থাকে না৷ কারণ তুমি তো তোমার সেরা দিক তুলে ধরেছো৷”

সবকিছু ওক গাছের ডালপালা দিয়ে সাজানোও ঐতিহ্যের অঙ্গ৷ সেগুলিও অশুভ আত্মা ও নেতিবাচক শক্তি দূরে রাখে বলে বিশ্বাস করা হয়৷ জঙ্গল থেকে এমন ডালপালা সংগ্রহ করা হয়৷

আবহাওয়া যেমনই হোক না কেন, প্রকৃতির কোলে খোলা আকাশের নীচেই উৎসব পালন করা হয়৷ সে কারণে বনফায়ারের জন্য যথেষ্ট কাঠ জমা রাখা অত্যন্ত জরুরি৷ কারণ সারারাত আগুন জ্বলে৷ বনফায়ার মানুষকে উষ্ণতা দেয়, জাগিয়ে রাখে৷ একেবারেই ঘুমানোর জো নেই, কারণ, সেটা দুর্ভাগ্য ডেকে আনে৷ এমনকি বাচ্চারাও সারা রাত জেগে উৎসবে মেতে থাকে৷ লাটাভিয়ার সবচেয়ে ছোট রাত হয়ে ওঠে অ্যাডভেঞ্চারে ভরা৷

ডয়চে ভেলের শীর্ষ সংবাদ