যে ২৩ শর্তে দুই দলকে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ডিএমপি
এস. এ টিভি
- আপডেট সময় : ১২:৪৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩
- / ১৫৯৯ বার পড়া হয়েছে
জনগণের ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আজ রাজধানীর নয়াপল্টনে সরকার পতনের এক দফার চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে বিএনপি।
সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সকাল থেকে রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেন। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। ১২টার মধ্যেই কার্যালয়ের সামনের সড়ক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে যায়। রাজধানীর ১২টি জায়গা থেকে আজ বিএনপির সাথে যুগপৎভাবে একই ঘোষণা দেবে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২–দলীয় জোট, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, এবি পার্টিসহ ৩৭টি রাজনৈতিক দল ও জোট।
ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারির সফরের মধ্যেই আজ দুপুর দুইটায় নয়াপল্টনে বিএনপি’র সমাবেশ হবে। ২৩ শর্তে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপি। এদিকে, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকেও একই সময়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। দুই দলকে দুপুর ২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নির্ধারিত স্থানে সমাবেশ করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কর্মসূচি পালনে ডিএমপির যে ২৩ শর্ত মানতে হবে দুই দলকে:
- এ অনুমতিপত্র স্থান ব্যবহারের অনুমতি নয়; স্থান ব্যবহারের জন্য অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে।
- স্থান ব্যবহারের অনুমতিপত্রে উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন করতে হবে।
- অনুমোদিত স্থানেই সমাবেশের যাবতীয় কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।
- নিরাপত্তার জন্য নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক (দৃশ্যমান আইডি কার্ডসহ) নিয়োগ করতে হবে।
- স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলের চারদিকে উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে।
- নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে (ভদ্রোচিতভাবে) চেকিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
- নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সমাবেশস্থলে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- শব্দ দূষণ প্রতিরোধে সীমিত আকারে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করতে হবে, কোনক্রমেই অনুমোদিত স্থানের বাইরে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
- অনুমোদিত স্থানের বাইরে প্রজেক্টর স্থাপন করা যাবে না।
- অনুমোদিত স্থানের বাইরে, রাস্তায় বা ফুটপাতে কোথাও লোক সমবেত হওয়া যাবে না।
- আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময়ে মাইক/শব্দযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
- ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে – এমন কোনও বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন/বক্তব্য প্রদান বা প্রচার করা যাবে না।
- সমাবেশের কার্যক্রম ছাড়া মঞ্চকে অন্য কোনও কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
- সমাবেশ শুরুর ২ (দুই) ঘণ্টা আগে লোকজন সমবেত হওয়ার জন্য আসতে পারবে।
- অনুমোদিত সময়ের মধ্যে (বেলা ২টা থেকে ৫টা) সমাবেশের সার্বিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে।
- কোনও অবস্থাতেই মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা যাবে না।
- আইন-শৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় – এমন কার্যকলাপ করা যাবে না।
- রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কার্যকলাপ ও বক্তব্য দেয়া যাবে না।
- উসকানিমূলক কোনও বক্তব্য দেয়া বা প্রচারপত্র বিলি করা যাবে না।
- কোনও ধরণের লাঠি-সোটা/ব্যানার, ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি, রড ব্যবহার করা যাবে না।
- আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ও কোনও বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে আয়োজনকারী কর্তৃপক্ষ দায়ী থাকবেন।
- উল্লেখিত শর্তাবলী যথাযথভাবে পালন না করলে তাৎক্ষণিকভাবে এ অনুমতির আদেশ বাতিল বলে গণ্য হবে।
- জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনও কারণ দর্শানো ছাড়াই এ অনুমতি আদেশ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করেন।