সমুদ্রের পাশে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে আপিল বিভাগের আদেশের অপেক্ষায়

- আপডেট সময় : ০২:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারের সমুদ্রের পাশে গড়ে তোলা স্থাপনা উচ্ছেদে আপিল বিভাগের আদেশের কপির অপেক্ষায় রয়েছে জেলা প্রশাসন। রায়ের কপি হাতে পেলেই নির্দেশনা অনুযায়ী অবৈধ স্থাপনা সরাতে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, প্রশাসনের অবহেলায় দিনদিন হুমকির মুখে পড়ছে সৈকতের পরিবেশ।
প্রায় দুই দশক ধরে পর্যটনের নামে অপরিকল্পিতভাবে বড় বড় ইমারতে ঢেকে গেছে কক্সবাজারের পুরো সমুদ্র সৈকত। বালিয়াড়ির ওপর তৈরি হয়েছে বিখ্যাত সব হোটেলের স্থাপনা। রয়েছে ছোটখাটো হোটেল মোটেলও।
সৈকতকে সংকটাপন্ন ঘোষণা করে ১৯৯৯ সালে স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে নির্দেশনা আসে। কিন্তু আজও তা কার্যকর হয়নি। উল্টো নির্দেশনা উপেক্ষা করে সৈকতজুড়ে প্রভাব খাটিয়ে ১ দশমিক ৫ কিলোমিটারেরও বেশি এলাকায় ছড়িয়েছে ফাইভ স্টার, থ্রি স্টার মানের হোটেলের বিস্তার। প্রশাসনের অবহেলাই এর একমাত্র কারন, বলছেন সুশীল সমাজ।
খোদ পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাও স্বীকার করেছেন চার শতাধিক নির্মিত স্থাপনার পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। মানা হয়নি বিল্ডিং কোডও।
যেহেতু স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে উচ্চ আদালতের রায় এসেছে, আদেশের কপি হাতে পৌঁছালেই ব্যবস্থা নেয়া শুরু হবে, জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক।
গেলো ২৩ ডিসেম্বর কক্সবাজারের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত ১ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলাকার সব লিজ বাতিলের নির্দেশনা দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত। পাশাপাশি ওইসব জায়গায় গড়ে উঠা স্থাপনাগুলোও গুঁড়িয়ে দিতে বলা হয়।