সাগরে লঘুচাপ; ঢাকাসহ সারাদেশে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা
- আপডেট সময় : ০৯:০৭:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
- / ১৫৪৪ বার পড়া হয়েছে
চড়া রোদে গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। শ্রাবণ পেরিয়ে ভাদ্র মাস চললেও নেই বৃষ্টির দেখা। এ অবস্থায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হয়েছে আরেকটি লঘুচাপ। এতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কোথাও কোথাও হাল্কা বৃষ্টি হওয়ার কথা জানিয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসলে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে।
বৃষ্টিহীন রাজধানী। আকাশে নেই কালো মেঘের দেখা, তেড়ে ফুঁড়ে উঠেছে সূর্য।চলতি মাসেও সাগরে লঘুচাপের কারণে কয়েক দফা বৃষ্টি ঝরেছে। তবুও কমেনি গরম। এতে অতিষ্ঠ নগরবাসী।
তবে এবারের লঘুচাপ আরও ভারি হতে পারে। এতে দেশের দক্ষিণের উপকূলীয় অঞ্চলসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এমন তথ্য,আবহাওয়াবিদদের।
তবে রাজধানীবাসীর জন্য খুশির বার্তা বয়ে আনতে পারে এবারের লঘুচাপ। ফলে কমে আসতে পারে গরমের তীব্রতা ।
এদিকে, লঘুচাপের কারণে দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখানো হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে আবারও একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল হয়ে উঠেছে। সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর।
শুক্রবার ভোর থেকে উপকূলীয় এলাকার ওপর দিয়ে ঝড়বৃষ্টি বয়ে যাচ্ছে। গত দু’তিন দিন সাগরে মাছ শিকারের পর বৈরি আবহাওয়ার কারণে আবারও কক্সবাজার উপকূলে মাছশূন্য ট্রলার নিয়ে ফিরছেন জেলেরা। আর গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা বিভিন্ন চরে আশ্রয় নিয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পটুয়াখালীসহ উপকূলীয় অঞ্চলে দমকা বাতাস ও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। উপকূলীয় জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৪ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। পায়রাসহ চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে হবে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় হাতিয়ার নলচিরা-চেয়ারম্যানঘাটসহ সব রুটে নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সব নৌ-যানকে উপকূলের কাছাকাছি থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।