সাত বছরে বড় কোন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ পদ্মা অয়েল কোম্পানী
- আপডেট সময় : ১০:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
- / ১৮৫০ বার পড়া হয়েছে
দফায় দফায় সময় ও বাজেট বাড়িয়েও সাত বছরে বড় কোন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি রাষ্ট্রয়াত্ব তেল বিপনন প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানী। ঢাকা-চট্টগ্রাম পাইপলাইন, পিতলগঞ্জ-কেএডি পাইপলাইন এমনকি নিজেদের অফিস ভবনের কাজও থমকে আছে বছরের পর বছর। অথচ প্রতিটি প্রকল্পেই কাজের চেয়ে বেশি বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদাররা। অভিযোগ রয়েছে পদ্মার এমডিসহ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তার যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই হরিলুট। এব্যাপারে বক্তব্য দিতে রাজি হননি পদ্মা অয়েলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান আর রাষ্ট্রিয় দুটি বাহিনী, একটি গোয়েন্দা সংস্থার নাম ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ না করতে এসএ টিভিকে হুমকি দেন প্রকল্প পরিচালক ও জিএম জিয়াউল হাসান।
পিতলগঞ্জ-কুর্মিটোলা এভিয়েশন ডিপো পাইপলাইন প্রজেক্ট। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল বাস্তবায়নের আগেই বিমানের জ্বালানী পরিবহনের জন্য সরকার গুরুত্বপুর্ণ এই প্রকল্পটি হাতে নেয় ২০১৬ সালে। দু’বছরে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কাজ শুরু হওয়ার কদিন পরই অর্থের যোগান না দেয়ায় বন্ধ হয়ে যায় প্রকল্পের কাজ। পাইপলাইনের মধ্যে নাইট্রোজেন গ্যাস দ্বারা পরিপুর্ণ করে রক্ষণাবেক্ষনের নিয়ম না মানায় মাটির নিচের কাজ যতটুকু এগিয়েছে জং পড়ে তাও নষ্ট হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে
আগামী অক্টোবর থেকে পুরোপুরি অপারেশনে যাবে থার্ড টার্মিনাল। এর আগে এই প্রকল্প শেষ না হলে বিমানের জ্বালানী সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হবে। আর এই ইস্যুটিকে পুঁজি করে ব্যয় বৃদ্ধির নামে হরিলুট করতেই কৌশলে প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখে পদ্মা। এখন চলছে বাজেট বাড়ানোর তোড়জোড়
২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা ব্যায়ে চট্টগ্রামের গুপ্তখাল থেকে ঢাকার গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত আড়াইশো কিলোমিটার পাইপলাইন বসানোর উদ্যোগ নেয় সরকার। ২০২২ সালে যার কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। এরই মধ্যে দু’দফায় সময় ও ৮ শো কোটি টাকা ব্যায় বাড়ানো হয়েছে কিন্তু কাজ শেষ হবে কবে তা জানে না কেউ। নিজস্ব অফিসের জন্য আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় ২৪ তলা ভবন নির্মানের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। এক তলার ছাদ ঢালাইয়ের পর বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। অথচ কাজের চেয়ে কয়েকগুন বেশি বিল দিয়ে দেয়া হয়েছে ঠিকাদারকে।
এসব নিয়ে বক্তব্য জানতে পদ্মা অয়েল কোম্পানীর প্রধান কার্যালয়ে দফায় দফায় ধর্ণা দিলেও এসএ টিভির সঙ্গে কথা বলেননি পদ্মার এমডি মাসুদুর রহমান। তবে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে পদ্মার সেকেন্ডম্যান হিসেবে পরিচিত এইচ আর বিভাগের জিএম ও পিতলগঞ্জ পাইপলাইন প্রজেক্টের পিডি জিয়াউল হাসানের মুখোমুখি হয় এসএটিভি। সংবাদ প্রকাশ না করতে সরাসরি হুমকি দেন তিনি।
পদ্মা অয়েলের প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়ম দুর্নীতির পাশাপাশি সিস্টেম লসের নামে হরিলুটের ব্যাপারে ২০২১ সালে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। কিন্তু চার বছরে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি দুদকও।