সারাদেশে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন
- আপডেট সময় : ০৯:২৮:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৯
- / ১৫৪৫ বার পড়া হয়েছে
সারাদেশে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ। প্রতিনিয়ত শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় কর্মহীন হয়ে পড়ছেন তারা।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় বৃহস্পতিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নেমে যাওয়ার সাথে সাথে চরম দুর্ভোগে পড়েছে এই জেলার দরিদ্র এবং ছিন্নমূল মানুষ।
শীতের তীব্রতায় নাজেহাল পড়েছে কুড়িগ্রামের পুরো জনপদ। রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস জানায়, জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
নড়াইলে শীতের পাশাপাশি বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। সকাল থেকে সুর্যের আলো দেখা যায়নি। এছাড়া শীতের পাশাপাশি বৃষ্টির কারনে শীতের তীব্রতা আরো বেড়ে গেছে।
ময়মনসিংহে অব্যাহত শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শীতে সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ছিন্নমূল অসহায় মানুষ।
গোপালগঞ্জে হঠাৎ করে তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় ঠান্ডা ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা। এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চুয়াডাঙ্গায় এক সপ্তাহের শৈত্যপ্রবাহে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঘন কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি বাড়িয়ে দিয়েছে দুর্ভোগ।
সাতক্ষীরা শহরসহ আশেপাশে এলাকায় হালকা বাতাস ও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে হাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এদিকে,ঠান্ডাজনিত ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, জ্বর,সর্দি ও কাশিসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ।
আওহাওয়া অফিসের তথ্যমতে দিনাজপুর জেলায় সবর্নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার পরিমান কম হলেও তীব্র শীতে জনজীবন বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে।
ঝিনাইদহে উত্তরের হিমেল হাওয়া বইতে শুরু করায় হঠাৎ করেই বেড়েছে শীত।এতে স্বাভাবিক কাজকর্মে নেমে এসেছে কিছুটা স্থবিরতা। আগুন জ্বালিয়ে অনেকেই চেষ্টা করছেন শীত নিবারণের।