সারাদেশে করোনার এক কোটি প্রথম ডোজ টিকাদান শুরু : চলবে আরো দু’দিন
- আপডেট সময় : ০৮:১৩:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২
- / ১৫৩১ বার পড়া হয়েছে
দেশে ২৮ হাজার বুথে আজ দেয়া হয়েছে প্রথম ডোজের করোনার টিকা। কর্মসূচিতে কাজ করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকসহ মোট ১ লাখ ৪২ হাজার জন। দেশের বিভিন্ন জেলার কেন্দ্রগুলোতে দেখা গেছে টিকা প্রত্যাশীদের উপচে পড়া ভীড়। নিবন্ধনের ভোগান্তি ছাড়াই ভ্যাকসিন নিতে পেরে খুশি মানুষ।
একিদনে এক কোটি মানুষক করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে সারাদেশে। টিকা পেতে কোনো ধরনের নিবন্ধন কিংবা কাগজপত্র লাগছে না।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৩০টি ওয়ার্ডে ১৮টি স্থায়ী এবং ১০টি ভ্রাম্যমাণ টিম কাজ করছেন প্রথম ডোজের গণটিকা কর্মসূচি বাস্তবায়নে। সিভিল সার্জন ডা. মারিয়া হাসান জানান, বরিশাল জেলার ১০ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নে ৩টি কেন্দ্রের মাধ্যমে গণটিকা দেয়া হচ্ছে।
চলমান কোভিড ১৯ ভ্যাকসিন এর কর্মসূচির আওতায় খুলনা মহানগরীতেও দেয়া হয় গণটিকা। সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সকাল ৯ টায় কেসিসি পরিচালিত খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলে গণটিকার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
ঝিনাইদহে ৭২ হাজার ৮’শ জনকে দেয়া হচ্ছে করোনার টিকা। সকাল থেকে জেলার ৬৭টি ইউনিয়ন, ৬টি পৌরসভার মোট ২শ’ ৬২ টি কেন্দ্রে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
প্রথম ডোজ টিকা দেয়ার শেষ দিনে কুমিল্লায় ৩ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্য বিভাগ ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন।
সরকার ঘোষিত শেষ দিনের করোনার ১ম ডোজের গণটিকা ময়মনসিংহে শেষ হয়েছে। জেলায় ২ লাখ ৮২ হাজার মানুষ গ্রহণ করেন গণটিকা। ১৮ বছরের কম বয়সীদের ফাইজার এবং ১৮ বছরের বেশিদের সিনোভেক্সের টিকা দেয়া হয়।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় প্রথম ডোজ গণটিকার কার্যক্রমে ১৪ ইউনিয়ন, এক পৌরসভায় মোট ৫২টি কেন্দ্রে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার ৬শ’ থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ মানুষ অংশ নেয়।
নওগাঁ সদর হাসপাতালে গণটিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক। পুরো জেলায় প্রায় ১লাখ মানুষকে এই করোনার টিকা দেয়া হবে।
নেত্রকোণায় ১০ উপজেলা ও ৪টি পৌরসভার ৩৮৪টি টিকাদান কেন্দ্রে গণ টিকাদান কার্যক্রমপরিদর্শন করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আশরাফ আলী খান খসরু।
কর্মসূচির শেষ দিনে মুন্সীগঞ্জের ভ্রাম্যমাণ টিকাকেন্দ্রে মানুষের ঢল নামে। শহরের বিভিন্ন অস্থায়ী টিকা কেন্দ্রে নারী-পুরুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা নিতে দেখা গেছে।
রাঙ্গামাটি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলার ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ৪৫ হাজার টিকা দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম সকালে শুরু হয়।
ফেনীতে শুরু হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। সকাল ৯ টা থেকে কর্যক্রম শুরু হয়ে চলে দুপুর তিনটা পর্যন্ত।
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সকাল থেকেই ভীড় করেন প্রথম ডোজ গ্রহণকারীরা। হাসপাতালসহ উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ে ৪৫টি কেন্দ্রে মোট ৪০ হাজার টিকা দেয়া হয়।
এছাড়াও টাঙ্গাইল, দিনাজপুর, মোলভীবাজার, সাতক্ষীরা ও নাটোরে করোনা প্রতিরোধক টিকা দেয়া হয়।